লিগ ফাইনালে সালাহ বনাম রোনালদো

প্রকাশ : ২৬ মে ২০১৮, ১৬:৪৭

সাহস ডেস্ক

এবারের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হচ্ছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। এই ফাইনালে রিয়ালের হয়ে লিভারপুলের বিপক্ষে লড়বে পাঁচবার ব্যালন ডি’অর প্রাপ্ত পুর্তগীজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এবং লিভারপুলের হয়ে রিয়ালের বিপক্ষে লড়বে মাত্রই বিশ্বজুড়ে নাম ছড়ানো মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ।

আজ ২৬ মে (শনিবার) দিবাগত রাত পৌনে ১ টায় লিভারপুলের কিয়েভে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মাঠে নামবে এই দু’দল।

দলীয় লড়াইয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বৈরথটা হবে রোনালদো-সালাহর। মাদ্রিদের ক্লাবটির ফাইনালে ওঠার পেছনে বরাবরের মতো এবারও প্রধান চরিত্র পর্তুগিজ তারকা। অন্যদিকে ইংলিশ ক্লাবটি কিয়েভে যাওয়ার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় অবদান মিশরীয় ফরোয়ার্ডের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও তাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে দল দুটি।

চলতি মৌসুমে দুই তারকাই প্রতিপক্ষদের ভাসিয়েছেন গোল বন্যায়। দুজনই ৪৪ গোল নিয়ে নামতে যাচ্ছেন ফাইনালে। গোলের দিক থেকে তাদের চেয়ে কেবল লিওনেল মেসিই এগিয়ে আছেন ৪৫বার লক্ষ্যভেদ করে।

সালাহ তার গোলের ৮২ শতাংশ করেছেন বাঁ পা দিয়ে। আর রোনালদো তার গোলের ৭১ শতাংশ করেছেন ডান পায়ে। শট নেওয়া ও অ্যাসিস্টের সংখ্যায় এগিয়ে লিভারপুল ফরোয়ার্ড। তবে মিনিট প্রতি গোলের হিসাবে এগিয়ে রোনালদো। পেনাল্টি থেকে গোল করার সংখ্যাতেও এগিয়ে রিয়াল উইঙ্গার, তার ৭ পেনাল্টি গোলের বিপরীতে সালাহর স্পট কিক গোল একটি।

রোনালদো ও সালাহর মিল আছে অবশ্য এক জায়গায়। তারা প্রথম গোল করলেই দল ‘সেইফ’; না জিতুক, অন্তত হারবে না। মিশরীয় ফরোয়ার্ডের গোলে স্কোরের খাতা খুলে লিভারপুল অজেয় ১২ ম্যাচে, যেখানে ৯ জয়ের সঙ্গে তিনটিতে করেছে ড্র। আর রোনালদোর প্রথম গোলে রিয়াল হারেনি ৯ ম্যাচ, যার আটটিতেই জিতেছে, আর ড্র করেছে বাকটিতে।

টানা তৃতীয়বার ফাইনালে খেলতে নামছেন রোনালদো। আগের আসরগুলোর মতো এবারও গোলের পর গোল করে গেছেন পর্তুগিজ তারকা। ফাইনালের আগে ১৪ ম্যাচে তার গোল ১৫। ৫ গোলে এগিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে থাকা সালাহ ও তার লিভারপুল সতীর্থ রবের্তো ফিরমিনো (১০) থেকে।

প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পঞ্চম চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার হাতছানি রোনালদোর সামনে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত চার বছরে জিতেছেন তিনটি, আর ২০০৭-০৮ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাটেডের হয়ে জিতেছিলেন প্রথম শিরোপা। শুধু আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ক্লারেন্স সিডর্ফের চার ফাইনাল খেলা ও জেতার রেকর্ড আছে। কিয়েভের ম্যাচ জিতলে তাদের ছাড়িয়ে অনন্য চূড়ায় বসবেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।

লিভারপুল সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল ২০০৫ সালে। এরপর ফাইনালে খেলারই সুযোগ হয়নি কখনও। এই দলের কারোরই নেই ফাইনাল খেলা অভিজ্ঞতা। স্বাভাবিকভাবে সালাহও প্রথমবার নামতে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।

মিশরীয় ফরোয়ার্ডের সামনে তাই প্রথম শিরোপা জেতার হাতছানি। বিপরীতে রোনালদোর পঞ্চম শিরোপা জিতে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপলক্ষ।

সাহস২৪.কম/খান/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত