লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি

প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৫৪

সাহস ডেস্ক

লেবাননের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন নতুন সরকার গঠনের জন্য সাদ হারিরিকে আহ্বান জানিয়েছেন।

সাদ হারিরি দেশটির শীর্ষ সুন্নি মুসলিম রাজনৈতিক নেতাদের একজন। এর আগেও তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

বিবিসি বলছে, চুক্তির অংশ হিসেবে গেল সপ্তায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সাবেক জেনারেল আউন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সাদ হারিরির পুনর্বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল।

এর মধ্যে দিয়ে দেশটিতে ২৯ মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হল। প্রতিবেশি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ১০ লাখেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী সামলানোর ক্ষেত্রেও হিমশিম খাচ্ছে লেবানন।

দেশটিতে অর্থনৈতিক, অবকাঠামো এবং মৌলিক সেবাখাতে গুরুতর সমস্যা বিরাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর সাদ হারিরি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় চুক্তির আলোকে দ্রুত সরকার গঠনের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।

সাদ বলেন, আমরা অর্থনৈতিক, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক ইস্যুগুলো যা লেবাননের জনগণকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে সেগুলো সমাধানে কাজ করবো।

মিশেল আউনের প্রার্থিতার বিষয়ে সাদ হারিরি বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ আউন দেশটির শক্তিশালী সশস্ত্র রাজনৈতিক দল শিয়া মুসলিম হিজবুল্লাহ আন্দোলনের একজন মিত্র। ২০০৫ সালে সাদ হারিরির বাবা রফিক হারিরি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালত  এই গোষ্ঠীর সদস্যদের অভিযুক্ত করেছে।

২০০৫ সালে বৈরুতে গাড়ি বোমা হামলায় রফিক হারিরিসহ ২২ জন নিহত হয়।

অবশ্য হিজবুল্লাহ হারিরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। উল্টো ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি তাদের।

জানা যায়, হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো প্রার্থী দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত