জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরানোর আলোচনা শুরু : হোয়াইট হাউস

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ১৪:১০

সাহস ডেস্ক

হোয়াইট হাউজ তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিষয়ে ইসরায়েলে থাকা মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা-বার্তা শুরু করেছে। তবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলীরা নিজেদের জাতীয় রাজধানী দাবি করলেও, এই শহরকে ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের বলে দাবি করে।

হোয়াইট হাউজের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলী এক মন্ত্রী  বলেছেন, ট্রাম্পের যে নির্বাচনী প্রতিজ্ঞা ছিল তা পূরণের প্রাথমিক ধাপ শুরু হলো।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত থাকা নীতি ভেঙে, তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নেওয়ার জন্য প্রাথমিক আলাপচারিতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সদ্য শপথ নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এমনকি তার নির্বাচনী প্রচারণার সময়েও স্পষ্ট সেই ইঙ্গিত ছিল। অনেকের মনে হতে পারে যে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিবে হলো, নাকি জেরুজালেমে এটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কিন্তু বিবদমান পক্ষগুলোর কাছে এটা মোটেও তুচ্ছ বিষয় নয়।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে পূর্ব জেরুজালেমের মর্যাদার প্রশ্ন - যা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এবং জটিল বিষয়।

২২ জানুয়ারি (রবিবার) হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনার একেবোরেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন।

ওবামা প্রশাসনের শেষ দিকে অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়। যেই প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশের পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে সমর্থন করে টুইট করে বলেছিলেন, ইসরায়েলকে ' অবজ্ঞা ও অসম্মান' এর সঙ্গে আচরণ করাটা তিনি ভালোভাবে নেবেন না। তখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে 'শক্ত' থাকার জন্যও আহ্বান করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনটি ধর্মের কাছে পবিত্র এই প্রাচীন নগরী জেরুজালেম। কিন্তু এর কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে শহরটি অনেকবার অবরোধ, ধ্বংসযজ্ঞ, দখল-পুনর্দখলের শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম, কিন্তু ইসরায়েলের দাবি, পূর্ব ও পশ্চিম জেরুজালেম মিলিয়ে পুরো শহরটিই তাদের রাজধানী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের অনেক সদস্য রাষ্ট্রই জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ এবং বসতি নির্মাণও আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত নয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত