সিরিয়ায় আরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:৫২

সাহস ডেস্ক

সিরিয়ার হোমস প্রদেশের আল-শায়রাত বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটিতে আরও হামলার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালে বলেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ ও নিরস্ত্রীকরণ ব্যাপকভাবে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র এটাই শুধু নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কখনো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করেন।

এদিকে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ মানোশিন বলেন, সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরো কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সাফ্রোনকভ বলেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদেরই উৎসাহিত করছে। সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘নগ্ন হস্তক্ষেপ’ বলেও উল্লেখ করে রাশিয়া।

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব শহরে রাসায়নিক হামলার জেরে বিমানঘাঁটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও, সিরিয়ার কোন সরকারি ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা এই প্রথম। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

শুক্রবারের ওই অভিযানে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়। ওই অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন দাবি করে এর নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়ায় একটি শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।

উল্লেখ্য, ইদলিবে ওই রাসায়নিক গ্যাস হামলায় ৮৬ জন নিহত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলার অভিযোগ ওঠার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারী বাহিনী ও রাশিয়াকে দুষলেও এই দাবি অস্বীকার করেছে সিরীয় সেনাসূত্র ও রুশ কর্তৃপক্ষ। হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে তোপের মুখে পড়ে রাশিয়া। ওই হামলায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দায়ী করে রাশিয়া।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত