জলবায়ু বিষয়ে ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৭, ১৬:৩৪
ইতালির সিসিলির তাওরমিনাতে বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সম্মেলনের মূল আলোচ্যসূচি ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। জি-সেভেনভুক্ত ছয়টি সদস্য রাষ্ট্রই এ চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তাদের অবস্থান সম্মেলনে পরিষ্কার করেনি।
সম্মেলনে জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর নেতারা চেষ্টা করেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে কোনো অঙ্গীকার আদায় করতে পারেননি। ট্রাম্প অবশ্য তার নির্বাচনী প্রচারের সময়ই এ চুক্তি থেকে সরে আসার কথা বলেছিলেন
সম্মেলন শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেছেন, ওয়াশিংটনে ফিরে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে আগামী সপ্তাহে তার সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করবেন তিনি। তখনই এ চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।
তার আগে শনিবার সম্মেলনের শেষ দিনে এক টুইটার বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আলোচিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানাবে, নাকি প্রত্যাখ্যান করবে—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী সপ্তাহে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘প্রয়োজন অনুযায়ী সময়ে সময়ে ওঠানো একটি ধাপ্পাবাজি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ‘চীনের ধোঁকাবাজি’ বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অনড় অবস্থানে প্রায় একই মত অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদেরও। চীনের প্রতিনিধিদলের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য রয়টার্সকে বলেন, জাতিসংঘ ও চীনের উদ্যোগে গত বছর সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আগামী দিনগুলোতেও এই ধারা বজায় থাকবে বলে আশা করা যায়। এ ছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা কমিয়ে আনতে অনেক দেশের সরকারই আইন পাস করেছে। এতে কারখানার বিনিয়োগকারী ও অন্যদের মধ্যেও সচেতনতা তৈরি হয়েছে।
তবে যত যাই হোক, যুক্তরাষ্ট্রের সদিচ্ছা ছাড়া প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অবস্থা দেখে এমন মনে হচ্ছে, অনড় ট্রাম্পকে বোঝানো প্রায় অসম্ভব। তবুও প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায় জলবায়ু বিষয়ে ট্রাম্পের দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।