পশ্চিমতীর ও জেরুজালেম রণক্ষেত্র

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৬:৩৩

সাহস ডেস্ক

আল-আকসা মসজিদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা আরও জোরালো হয়েছে। জেরুজালেম এবং পশ্চিমতীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে দখলদার ইসরায়েল। ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সেনাবাহিনীকে পাথর ছুঁড়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষ। 

২১ জুলাইয়ের (শুক্রবার) সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৬ জন নিহত হওয়ার পর ২২ জুলাই (শনিবার) পশ্চিমতীর এবং জেরুজালেমে পৃথক দুই ঘটনায় আরও দুই ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়।  উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। 

রয়টার্স, সিএনএন, মিডল ইস্ট আই এবং আল জাজিরার খবর থেকে এসব কথা জানা যায়। 

সেনাবাহিনীর ভারি অস্ত্র প্রতিহত করতে পাখরকেই অধিকাংশ সময় হারিয়ার করতে হয় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন আরব-ইসরায়েলির হাতে দুই পুলিশ খুন হওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী ধাওয়া করে হত্যা করে তিন হামলাকারীকেই। মসজিদের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টরসহ আরোপিত হয় বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ। 

ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে চলতে থাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় থেকে নিষিদ্ধ হয় ৫০ বছরের কম বয়সী মুসল্লিদের প্রবেশাধিকার। পথকেই জায়নামাজ বানিয়ে নেয় ফিলিস্তিনি মুসলিমরা। জেরুজালেম আর পশ্চিমতীর উত্তাল হয়ে ওঠে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর তাদের রবিবারের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনী অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।

২২ জুলাই (শনিবার) বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। 

আল জাজিরার খবর থেকে জানা যায়, এদিনের বিক্ষোভ চলাকালে আরও ২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। 

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানায়, আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনা নিরসনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে মিশর, ফ্রান্স ও সুইডেন। 

ওই সংস্থায় নিযুক্ত সুইডিশ কূটনীতিক কার্ল স্কাউ এ খবর জানিয়ে বলেছেন, জেরুজালেমে উত্তেজনা অবিলম্বে কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের উচিত জরুরি আলোচনায় মিলিত হওয়া। আগামীকাল (সোমবার) রুদ্ধদ্বার কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে যখন ইসরায়েল এই এলাকায় প্রবেশাধিকার পায় তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতো। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদীরা। মেনে চলতে হতো অনেক নিয়ম। বিগত ৫০ বছরে এই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত