ফিলিস্তিনি হত্যার তদন্ত চায় জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৮:২৪

সাহস ডেস্ক

আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে ইসরায়েলের বিধিনিষেধকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের সময় ফিলিস্তিনি হত্যায় ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে ঘটনাটি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। 

২১ জুলাইয়ের (শুক্রবার) সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৬ জন নিহত হওয়ার পর ২২ জুলাই (শনিবার) পশ্চিমতীর এবং জেরুজালেমে পৃথক দুই ঘটনায় আরও দুই ফিলিস্তিনি মৃত্যু হয়। উত্তেজনা প্রশমনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

প্রাণহানির এ ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে উত্তেজনা বাড়ার মতো পরিস্থিতি যাতে আর তৈরি না হয়, সে জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানায়, আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনা নিরসনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে মিশর, ফ্রান্স ও সুইডেন। ওই সংস্থায় নিযুক্ত সুইডিশ কূটনীতিক কার্ল স্কাউ এ খবর জানিয়ে বলেছেন, জেরুজালেমে উত্তেজনা অবিলম্বে কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের উচিত জরুরি আলোচনায় মিলিত হওয়া। আগামীকাল (সোমবার) রুদ্ধদ্বার কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

২২ জুলাই (শনিবার) বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। 

আল জাজিরার খবর থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে পূর্ব জেরুজালেমে বিক্ষোভ চলাকালে ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে আহত ১৭ বছর বয়সী তরুণ ওদয় নাওয়াজা আর বেঁচে নেই। আর ইসরায়েলি বাহিনীকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়তে গিয়ে তা বিস্ফোরণ নিহত হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী তরুণ আবু ডিস। সবমিলে গত ২দিনের সংঘর্ষে নিহত ফিলস্তিনির সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জনে। শুক্রবার প্রাণহানি হয় ৩ ফিলিস্তিনির। পূর্ব জেরুজালেমের রাস আল- আমুদের কাছাকাছি ইসরায়েলি এক বসতি স্থাপনকারী হত্যা করে ১৮ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি তরুণকে। আল-আকসা এলাকার বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন তৃতীয়জন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত