ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের শিশুর সন্তান প্রসব

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৭, ১২:৪৬

সাহস ডেস্ক

ভারতের চণ্ডিগড়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সন্তান প্রসব করেছে ১০ বছর বয়সী এক শিশু। যাকে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট কিছুদিন আগে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি। 

সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়ে, ওই নাবালিকাকে গত সাত মাস ধরে বহুবার ধর্ষণ করেছিল এক চাচা। ধর্ষণকারী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কিন্তু দেশের আদালত শিশুটিকে এই যুক্তিতে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি যে সে গর্ভাবস্থার একেবারে অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল এবং ডাক্তারদের এক প্যানেলের রায় ছিল ওই অবস্থায় গর্ভপাতের চেষ্টা ‘খুব বিপজ্জনক’ হবে।

এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সিজারিয়ান সেকশন করিয়ে চন্ডীগড়ের এক সরকারি হাসপাতালে ওই ধর্ষিতা বালিকার সন্তানের জন্ম দেওয়ানো হয়। 

শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত কমিটির চেয়ারপারসন ডা. দাসারি হরিষ বলেন, ‘নবজাতকের ওজন ২.৫ কেজি (সাড়ে পাঁচ পাউন্ড)। তাকে হাসপাতালে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মেয়েটি স্থিতিশীল আছে। তাকে আলাদা একটি কক্ষে রাখা হবে।’

তবে শিশুটি এখনও জানে না সে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছে। গর্ভাবস্থার সময় তাকে বলা হয়েছিল তার পেট ফুলে উঠেছে কারণ তার পেটে একটি বড় আকারের পাথর তৈরি হয়েছে।

ধর্ষিতা মেয়েটি যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে সেটা জানাই গিয়েছিল মাত্র সপ্তাহ পাঁচেক আগে - যখন পেটব্যথা হচ্ছে বলায় তার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

ভারতে শিশুদের কল্যাণে কাজ করেন যে অ্যাক্টিভিস্টরা, তারা অনেকেই এই শিশুটির সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলছেন ওই শিশুটি খুব মেধাবী, কিন্তু সে আসলে মনে মনে এখনও একেবারে একটি নিষ্পাপ শিশুই রয়ে গেছে। তার সঙ্গে যে কী ঘটে গেছে, সে ঘুণাক্ষরেও তা বুঝতে পারেনি।

ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা-মা আগাগোড়াই বলে এসেছেন, তাদের কন্যার গর্ভে যে সন্তান এসেছে তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই, তারা কোনও সম্পর্ক চানও না। ফলে সদ্যোজাত ওই সন্তানটিকে পরে দত্তক হিসেবে কোনও দম্পতিকে দেওয়া হবে বলেই স্থির হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত