ঝড়ে উড়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির ছাদ (ভিডিও)
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:০১
‘আমরা যা হারিয়েছি, তার ক্ষতি অর্থ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়। আমার ভয় হচ্ছে, সকালে উঠে বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে হতাহতের খবর পাব।’ ডোমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রোসিভেল্ট স্কেরিট তার ফেসবুক পোস্টে এভাবেই জানাচ্ছিলেন হারিকেন মারিয়ার ব্যাপক ধ্বংসের কথা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসভবনের ছাদও উড়ে গেছে ঝড়ের আঘাতে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে হারিকেনটি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানে। চলতি মাসে ব্যাপক ক্ষতি করা হারিকেন ইরমার গতি পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে মারিয়া। ডোমিনিকায় আঘাত হানার সময় হারিকেন মারিয়ার বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ২শ ৫০ কিলোমিটার। ডোমিনিকাতে আঘাত হানার পর এটি কিছুটা শক্তি হারিয়ে ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার হারিকেনে পরিনত হয়।
ঝড়ের সময় প্রধানমন্ত্রী রুসভেল্ট স্কেরিট ফেসবুকে লেখেন, ‘আজ রাতে ডোমিনিকার কারো ঘুম হবে না। আমার বিশ্বাস, আমার বাড়িরও কিছু ক্ষতি হয়েছে।’
পরে আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমার বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। আমি এখন হারিকেনের করুণায় বেঁচে আছি। বাড়ির ভেতর পানি থৈথৈ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে, হারিকেনটি এখন পুয়ের্তো রিকো এবং ভার্জিন দ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তবে এটি যেকোন সময় আবার শক্তি সঞ্চয় করে ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার ঝড়ে পরিনত হতে পারে। ক্যাটাগরি ১ মাত্রার হারিকেন মারিয়া ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানার আগ মুহুর্তে হঠাৎই শক্তি সঞ্চয় করে ক্যাটাগরি ৫ মাত্রায় পরিণত হয়।
ডোমিনিকার প্রধানমন্ত্রী হারিকেনের ক্ষতিকে বিধ্বংসী এবং স্তমিত করে দেয়ার মত বলেছেন। মার্টিনিকুইয়ে ১৬ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে সেন্ট লুসিয়াতে বন্যা, ভূমি ধস এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে হারিকেন চলে গেলেও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এখন ভূমি ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের অধিকাংশ দ্বীপ এখনো ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার হারিকেন ইরমার ক্ষয়ক্ষতি কাটিতে উঠতে লড়ে যাচ্ছে। ইরমার আঘাতে ৩৭ জন প্রাণ হারায় এবং বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বিনষ্ট হয়।
এদিকে ফ্রেঞ্চ আইল্যান্ড, গুয়াদেলোপ, পুয়ের্তো রিকো, ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দ্বীপে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে ফ্রেঞ্চ আইল্যান্ড, পুয়ের্তো রিকো ও গুয়াদেলোপের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।