পাঞ্জাবে মাসহ সাংবাদিককে হত্যা

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:০০

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের কেরালা ও ত্রিপুরার পর এবার পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে কে জে সিং (৬৪) নামের এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সিংয়ে মা গুরুচরণ কৌরকে (৯২) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চণ্ডীগড়ের মোহালি এলাকার বাড়ি থেকে সাংবাদিক সিং ও তাঁর মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ধারণা করা হচ্ছে, গত শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা কে জে সিংয়ের মোহালির বাড়িতে ঢুকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাবার দিতে কে জে সিংয়ের বোন ও ভাগনে ওই বাড়িতে যান। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে কেউ সাড়া দেননি। সিংয়ের সঙ্গে মুঠোফোনেও যোগাযোগ করতে পারেননি তারা। এরপর তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। মেঝেতে রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।

পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তরা কে জে সিংয়ের পেটে পাঁচবার ছুরিকাঘাত করেছে। পরে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া সিংয়ের মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তারা। বাড়ি থেকে একটি গাড়ি, ঘড়ি, টিভি ও সিংয়ের মুঠোফোনের খোঁজ মিলছে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কে জে সিং ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টাইমস অব ইন্ডিয়ায় কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও দ্য ট্রিবিউনে কাজ করেছিলেন। মায়ের দেখভালের জন্য গত আট বছর আগে তিনি এই চাকরি ছেড়ে দেন।

মোহালির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার কুলদীপ সিং চাহাল বলেন, দুর্বৃত্তরা হত্যার পর সাংবাদিকে কে জে সিংয়ের একটি ফোর্ড গাড়ি, এলইডি টিভি ও তার মায়ের গয়না নিয়ে পালিয়েছে। সিংয়ের মানিব্যাগ ও মুঠোফোনেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার দামি ক্যামেরা, ল্যাপটপ ও সিংয়ের গলার সোনার চেইন তারা নেয়নি। বাড়ির কোনো আলমারিও ভাঙচুর করেনি। তাই ডাকাতির উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনই বলা যাবে না। এর পেছনে আরও কোনো কারণ থাকতে পারে। তদন্তের পর তা বলা যাবে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এ ঘটনায় বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠনের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।