রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের বাসিন্দা নয়: মিয়ানমার সেনাপ্রধান

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫৫

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, রোহিঙ্গা ‘পলায়নের’ যে খবর আসছে, তা অতিরঞ্জিত। রোহিঙ্গারাই ‘অবৈধ বাঙালি’, তারা মিয়ানমারের জন্য ক্ষতিকর। আর সাবেক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিই এ জন্য দায়ী।

মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েলের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক বৈঠকে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান। এরপর সেই আলোচনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেজে পোস্ট দেন মিন। তবে সেনাসদস্যদের দ্বারা রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে  কোনো কথা বলেননি।

জেনারেল হ্লাইং বলেন, বাঙালিদের আদি-নিবাস হলো বাংলা (বাংলাদেশ)। সেজন্যই ভাষা, বর্ণ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিল আছে এবং নিরাপদবোধ করে- এমন কোনো দেশে তারা পালিয়ে থাকতে পারে।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং বলেছিলেন, রোহিঙ্গারা স্বীকৃতি দাবি করছে অথচ তারা কখনো মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠী ছিল না। এটি ‘বাঙালি’ ইস্যু। আর এই সত্য প্রতিষ্ঠায় একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান বলেন, ‘তারা কোনোভাবেই মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী নয়। নথিপত্র প্রমাণ করে, তারা কখনো রোহিঙ্গা নামেও পরিচিত ছিল না। ঔপনিবেশিক আমল থেকেই তারা বাঙালি ছিল। মিয়ানমার তাদের এ দেশে নিয়ে আসেনি। ঔপনিবেশিক আমলেই তারা এসেছিল।’

জেনারেল হ্লাইং দাবি করেন, রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযান ছিল সমানুপাতিক। সেনাবাহিনীর তৎরতার ফলেই বরং শরণার্থী ঢল নিম্নমুখী ছিল।

অবৈধ অভিবাসী প্রমাণ করার জন্য এবং তাদের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের কৌশলগত কারণে দীর্ঘদিন ধরে ‘বাঙালি’ আখ্যা দিয়ে আসছে।

১৮২৪ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার শাসন করে ব্রিটিশরা। অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পর ভারতে বার্মা নামে একটি প্রদেশ তৈরি করে ব্রিটিশরা। ভারত থেকেই সেখানে শাসনকার্য চালাতো তারা। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মিয়ানমার। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, উপনিবেশের অনেক আগেই মুসলিমরা রাখাইন রাজ্যে বসবাস শুরু করে। ব্রিটিশ শাসনামলে এই সংখ্যাই শুধু বৃদ্ধি পেয়েছিলো।

সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত