মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর ইইউ-র আমন্ত্রণ নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:০৯

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন অংসহ দেশটির জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর আমন্ত্রণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়। এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা তারা পুনর্মূল্যায়ণ করবে।

এছাড়াও অভ্যন্তরীণ দমননীতিতে ব্যবহার করা যায় এমন কোনও অস্ত্র মিয়ানমারের কাছে বিক্রি না করার বিষয়ে ইইউ ব্যবস্থা নিয়েছে। এতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তবে ইউরোপীয় কাউন্সিল বাড়তি পদক্ষেপ নেবে। রেজ্যুলেশনে আরও বলা আছে, যদি ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা যায়, তবে তার প্রতি সমর্থন থাকবে ইইউ-এর।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেডেরিকা মঘেরিনির সভাপতিত্বে বৈঠকে জার্মানির অর্থনীতি ও জ্বালানি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল, বেলজিয়ামের উপপ্রধানমন্ত্রী দিদিয়ের রেনডার্স, বুলগেরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ইকাতেরিনা জাহারিয়েভা, ক্রোয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মারিজা পেজচিনোভিচ বুরিক, চেক প্রজাতন্ত্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আইভো স্রামেক, ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস স্যামুয়েলসেন, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ ইভস দ্রিয়াঁ, এস্তেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ভেন মাইকসের,  স্পেন, ইটালি, সাইপ্রাস, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ,হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাল্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়িতে আগুন লাগানো, মানবাধিকার লংঘন, নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, স্থলমাইনের ব্যবহার, যৌন নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে রেজ্যুলেশনে বলা হয়,এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি অবশ্যই অবিলম্বে থামাতে হবে।

হত্যাসহ নির্বিচারে হামলা ও ভয়-ভীতির কারণে ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রেজ্যুলেশনে বলা হয়, যখন এতবেশি লোক পালিয়ে আসে তখন বুঝতে হবে সংখ্যালঘুদের নিজেদের জায়গা জমি থেকে উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটি একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম ।এইজন্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শরণার্থীদের নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসন।

রেজ্যুলেশনে আরও বলা হয়, যেহেতেু মানব্কি সহায়তা সেখানে দেওয়া যাচ্ছে না এবং মিডিয়ার কোনও প্রবেশাধিকার নেই তাই সেখানে প্রকৃত প্রয়োজন কী সেটি মূল্যায়ণ করা যাচ্ছে না।

এছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশীর সাথে আলোচনার জন্য মিয়ানমারকে আহবান জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। রেজ্যুলেশনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়।

সামনের মাসে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত আসেম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের পাশে রোহিঙ্গা বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার ওপর জোর দিয়ে বলা হয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখবে।

এছাড়া আসিয়ান জোটভুক্ত ১০টি দেশের মধ্যে যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদার তাদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয় রেজ্যুলেশনে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত