আইএস সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে যুদ্ধ করেছে

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৭

সাহস ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ব্যবহৃত অস্ত্রের অধিকাংশই সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে যুদ্ধাস্ত্রবিষয়ক গবেষণা সংস্থা কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ (সিএআর)।

১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সংস্থাটির প্রকাশিত ২০০ পাতার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি আইএসের কবল থেকে  ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার রাকা শহর পুনরুদ্ধারের পর সিরীয়া ও ইরাকের সরকারি বাহিনী যে অস্ত্র উদ্ধার করেছে,  তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, এসব অস্ত্রের ৪০ হাজার অস্ত্রই সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।

তবে সংস্থার দাবি, অস্ত্রগুলি সরাসরি আইএসকে দেওয়া হয়নি। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে এসব অস্ত্র দিয়েছিল সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে সে অস্ত্রগুলি পরে আইএসের হাতে চলে যায়। এর পরিমাণ আইএসের দখলে থাকা মোট অস্ত্রের এক-তৃতীয়াংশ।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সৌদি আরব-ই নয়, আইএসের কাছ থেকে রাশিয়া ও চীনের সরবরাহ করা আধুনিক অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। জানা যায়, রাশিয়া ও চীন সিরিয় সরকার আসাদকে ঠিকিয়ে রাখতে সরকারি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে। তবে ওইসব এলাকা দখলকালে জঙ্গিরা সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্রগুলো লুট করে।

সিএআর প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ইউরোপের একটি দেশের কাছ থেকে কেনা ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানেই ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি দখল করে আইএস যোদ্ধারা। এ ছাড়া আইএসের কাছে সৌদি আরবের আমদানি করা অনেক অস্ত্র পাওয়া গেছে। সেগুলো দেশটি অহস্তান্তরযোগ্য চুক্তিতে বুলগেরিয়া থেকে কিনেছিল।

সাহস২৪.কম/আল-জাজিরা/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত