মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ঘিরে রেখেছে সৈন্যরা

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:৫১

সাহস ডেস্ক

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। তারা বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

কোনো কারণ না দেখিয়ে আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্ট মহাসচিবের পদত্যাগের পরপরই সেনাবাহিনী পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে অবস্থান নেয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এরইমধ্যে পার্লামেন্ট সিলগালা করে দিয়েছে সেনারা। এদিকে বিরোধী দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিরোধীরা দাবি করছিলো, প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে দেশকে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় সেখানে সেনা-অভ্যুত্থানের আশঙ্কা সৃষ্টি হলো। 

সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, আমরা সংসদ সদস্যদের মুক্তি দেয়ার জন্য পুলিশকে আহ্বান জানাচ্ছি এবং অবৈধভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ক্ষমতার ওপর চড়াও হওয়ার প্রবল প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রপতি ইয়ামেন অবৈধভাবে রাষ্ট্রকে উচ্ছেদ করেছেন: তার অ্যাটর্নি জেনারেল অবৈধভাবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন, যখন সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উৎখাত করেছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তিন দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী ৯ নেতার বিরুদ্ধে আনা সরকারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু সরকার তাতে মোটেও কর্ণপাত করেনি। মালদ্বীপের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে অভিশংসনের শঙ্কায় পড়েন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা তাদের পূর্ববর্তী এক প্রতিবেদনে জানায়, সর্বোচ্চ আদালত এজন্য প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের অভিশংসনে প্রচেষ্টা নিয়েছে। এর অল্প সময় পরেই সেনাবাহিনী পার্লামেন্টের দখল নিয়ে সিলগালা করে দিল।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, মালদ্বীপের সরকার রবিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের একটি আসন্ন পদক্ষেপে রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিনকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছিল যে এই ধরনের আদেশ কার্যকর করা হবে না।

রবিবার সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রধানের পাশে বসে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আনিল সাংবাদিকদের বলেন, সরকারকে জানানো হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইয়েমেনকে গ্রেপ্তার হুমকিস্বরূপ ছিল।

তবে, এটর্নি জেনারেলের এই পদক্ষেপটি "অসাংবিধানিক" বলে উল্লেখ করেছেন। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত