ভারত মহাসাগরে চীন-ভারতের পাল্টাপাল্টি সামরিক উপস্থিতি

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:১৯

সাহস ডেস্ক

গত বছরের জুলাই মাসে আফ্রিকার জিবুতিতে দেশের বাইরের প্রথম সামরিক ঘাঁটি চালু করে চীন। এরপর সে অঞ্চল ও সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ভারত।

এরপর থেকে ভারত আফ্রিকা সংলগ্ন ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরের সে অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে সেখানে ভারতের কোনো সামরিক ঘাঁটি না থাকায় তা সমস্যা সৃষ্টি করছিল।

ভারত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র সেশেল ভারতের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে গত মাসে। এতে আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত সে দ্বীপটিতে ভারতের সামরিক ঘাঁটি তৈরির পথ সুগম হলো।

সেশেলে ভারতের নতুন ঘাঁটি তৈরি হলে ‘হর্ন অব আফ্রিকা’র দেশ জিবুতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের নৌঘাঁটির যাত্রা শুরুর পর থেকে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী যে চাপের মুখে ছিল, তা অনেকাংশে লাঘব হবে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

সেশেল দ্বীপরাষ্ট্রটি আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও তা আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৬৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত।

ভারতের বিদেশি বাণিজ্যের ৯৫ শতাংশই পরিবহন হয় ভারত মহাসাগর দিয়ে। ভারতের এ বাণিজ্যপথ নিরাপদ করতেও এই সামরিক ঘাঁটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় নৌ-কার্যক্রম, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ও মানবিক সহায়তার জন্য তারা এ ঘাঁটি বসিয়েছে। এ ছাড়া জরুরি কোনো পরিস্থিতিতে চীনা নাগরিকদের সরিয়ে নিতেও ব্যবহার করা হবে ঘাঁটিটি। এর আগে দেশটির সরকারনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস জানায়, বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নয়; বরং চীনের নিরাপত্তা স্বার্থেই এ ঘাঁটি বসানো হয়েছে।

সূত্র : সিএনএন
সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত