স্বেচ্ছামৃত্যুতে সায় দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৮:২২

সাহস ডেস্ক

নিরাময় অযোগ্য রোগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিয়েছে ভারতে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে নাগরিকদের চাইলে ভবিষ্যতে লাইফ সাপোর্টে বেঁচে থাকতে চান না মর্মে উইল করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে;  আদালত যাকে ‘লিভিং উইল’ বলে বর্ণনা করেছে।

তবে কে বা কারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিতে পারবে সে বিষয়ে আদালত থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘কমন কজ’ নামে একটি এনজিওর আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেয়।

পিটিশনে বলা হয়, একজন ব্যক্তির নিজের শরীরের উপর অত্যাচার প্রতিরোধের অধিকার নেই, এ কথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? বেঁচে থাকার অধিকারের মধ্যেই সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকার অন্তর্নিহিত। যন্ত্রের সাহায্যে (ভেন্টিলেশন) কাউকে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা যায় না। একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখার অর্থ তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেঁচে থাকতে বাধ্য করা।

দেশটির শীর্ষ আদালত বলেছে, জীবনদায়ী ব্যবস্থায় থাকা কোনও ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কখন জীবনে ইতি টানবেন তিনি। সেই ইচ্ছা কে কার্যকর করবেন ও কীভাবে মেডিকেল বোর্ড তাতে সিলমোহর দেবে সে ব্যাপারে গাইডলাইন ঠিক করেছে তারা। যতদিন না এ ব্যাপারে আইন তৈরি হচ্ছে, ততদিন এই গাইডলাইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে।

আদালত আরও বলেছে, যদি কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই, তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, তখন ওই ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তিনি জীবনদায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না দাঁড়ি টানবেন জীবনে। গত বছর সুপ্রিম কোর্ট বলে, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী শান্তিতে মৃত্যুর অধিকারকে বাঁচার অধিকার থেকে আলাদা করা যায় না। ২০০৫-এই কমন কজ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলে, যাঁরা জীবন্মৃত অবস্থায় জড় পদার্থের মত বেঁচে আছেন, তারা জীবনদায়ী ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার অধিকার দেওয়া হোক।

 সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত