সরায়েলকে ইহুদি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণায় পার্লামেন্টে বিতর্ক

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩২

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলকে ইহুদি জাতি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পাশ করা বিতর্কিত আইন নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ঝড় উঠেছে। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে বুধবার (৮ আগস্ট) এই বিতর্কের জন্য বিরোধীদল ২৫টি ভোট পায়। তাদের দাবি, সব ইসরায়েলিদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে আইন করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে পাস হওয়া ওই আইনে দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ঐতিহাসিকভাবেই ইহুদিদের জন্মভূমি আখ্যা দেওয়া হয়।  বলা হয়, সঙ্গত কারণেই এখানকার মাটিকে নিজেদের দাবি করার অধিকার রয়েছে তাদের। আইনে অবিভক্ত জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাস হওয়ার পর ওই আইনের নিন্দা জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মিসরও এই আইনপাসের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষসহ আরব নাগরিকেরা এই আইনকে বর্ণবাদী আইন আখ্যা দেয়। বিভিন্ন দেশের বুদ্ধিজীবীরাও এই আইনের সমালোচনা করেছেন।

বিরোধী দলীয় নেতা জিপি লিভিনি বলেন, তিনি এমন একটি আইন চান যেখানে ইসরায়েল ইহুদী রাষ্ট্র হলেও সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে।তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের ইহুদী ও সংখ্যালঘুদের মাঝের সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর নতুন আইন করে এটা দূর করা হচ্ছে।’

লিভিনি দাবি করেন, আমরা আমাদরে জীবনের স্বাধীনতার সেই চেতনা ফিরিয়ে আনতে চায়। আপনাদের সময় শেষ। আমরা জয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।

শনিবার তেলআবিবে রবিন স্কয়ারে হাজার হাজার ইসরায়েলি এই আইনের বিরোধিতা করে অবস্তান নেন। দেশটিতে প্রায় ৮৮ লাখ আরব সংস্কৃতির লোকের বসবাস যা আরবি ভাষায় কথা বলেন। তাদের দ্রুজ বলা হয়। 

বিতর্কিত এই আইনে ইসরায়েলকে প্রথম ও একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বলা হয় ইসরায়েল শুধু ইহুদি নাগরিকদের রাষ্ট্র। এই আইন তৈরির কারণ হিসেবে বিবিসি বলেছে, কোনও কোনও ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ মনে করেন নিজেদের প্রাচীন মাতৃভূমিতে ইহুদি রাষ্ট্র গঠন নীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।