সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০৫

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ এখনো সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে। বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

দেশটির সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি এখনো অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করা হয়। এ ছাড়া সীমান্ত ও বিদেশে যাওয়া-আসার পয়েন্টগুলোতে বাংলাদেশের কঠোর নজরদারি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়। তবে এতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অন্তত ৪০টি হামলায় ভারতীয় উপমহাদেশীয় আল-কায়েদা (একিউআইএস) এবং আইএসআইএস দায় স্বীকার করেছে।

উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল। এ সংখ্যা আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৬ সালের চেয়ে কম।

মার্কিন প্রতিবেদনের ভাষ্য, বাংলাদেশ সরকার হামলার জন্য স্থানীয় জঙ্গিদের দায়ী করলেও ২০১৫ সাল থেকে দেশটিতে সংঘটিত প্রায় ৪০টির মতো হামলার দায় স্বীকার করেছে একিউআইএস এবং আইএস। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের কোনও ঘোষিত কর্মকৌশল না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশটির সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিদেশি জঙ্গি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইনের অভাব রয়েছে বাংলাদেশে। তবে সন্দেহভাজন বিদেশি জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের বিদ্যমান আইনের অন্যান্য ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালানো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান চালালেও লস্কর-ই-তইয়্যবা (এলইটি) এবং ‘জৈশ-ই-মোহাম্মদের’ (জেইএম) মতো মূলত দেশের বাইরে অপতৎপরতা চালানো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিষয়ে পাকিস্তান যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। ২০১৭ সালেও সংগঠনগুলো পাকিস্তানে বসে তহবিল ও সদস্য সংগ্রহ, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, সংগঠিত করা ও জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার মতো কাজ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত