চীন দমনে মিয়ানমারকে ভারতের সমর্থন
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ১৭:৫১
ভারত সফররত মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ তিন কিয়াউকে যেকোন সময়ে, যে কোন কারণে প্রতিবেশী দেশটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আশ্বাস দেন, ‘সত্যিকারের বন্ধু’ হিসাবে ভারত সব সময় মিয়ানমারের পাশে থাকবে।
কিংবদন্তি নেত্রী আং সান সু কি’র নেতৃত্বে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ক্ষমতায় আসার ও মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম সে দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ভারত সফরে গেলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট কিয়াউ। পারস্পরিক সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে একাধিক ‘চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। একাধিক চুক্তি হয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কৃষির আধুনিকীকরণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, ভারী শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ডাল ও তেলবীজ আমদানি নিয়ে।
প্রসঙ্গত, সেনা শাসনের অবসানের পর মিয়ানমারের নবনির্বাচিত সরকারকে চীনের প্রভাবমুক্ত করতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে ভারত সরকার। তাই দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ মিয়ানমার সফর করেন। তিনি বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট কিয়াউ এবং সু কি’র সঙ্গে।
ভারতীয় নেতৃত্বের আগ্রহের কারনেই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সদলবলে ভারত সফর করেন। মোদির কাছে নির্ভেজাল বন্ধুত্বের দৃঢ় অঙ্গীকার পেয়ে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের পাল্টা অঙ্গীকার, মিয়ানমারের জমিকে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসে ও জঙ্গিদের কাজে কোনভাবেই ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা রুখতে ভারত ও মিয়ানমার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবালয় সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমানা রয়েছে। সেখানে কয়েকটি শক্তিশালী জঙ্গি সংগঠনের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে এবং চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখতে ভারতের দরকার মিয়ানমারের সাহায্য ও সহযোগিতা। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল মোদি-কিয়াউ আলোচনা ও চুক্তি বলে মনে করছে ভারতীয় মিডিয়া।