যৌথভাবে সেচ প্রযুক্তির সন্ধান করবে এটুআই, বিএডিসি ও বিএমডিএ

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:৪৯

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ভূগর্ভস্ত পানির ব্যবহার কমিয়ে প্রচলিত পদ্ধতিভিন্ন কার্যকর সেচ প্রযুক্তির সন্ধানে ‘মাটির উপরের পানি ব্যবহার করে সেচ’ শীর্ষক ‘চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ নামক প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এই প্রতিযোগিতার আয়োজন সফল করার লক্ষ্যে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের সভাকক্ষে এটুআই, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুজ্জামান এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রশীদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে বিকল্প সেচের একটি মডেল হিসেবে ‘পাতকুয়া’ মডেল তৈরি করেছে। পাশাপাশি, সারাদেশে সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণে কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন। এ দু’টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাংলাদেশের সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে অবমুক্ত সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ কৃষি কাজে পানির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সকলের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চ্যালেঞ্জ ফান্ড এর মাধ্যমে প্রাপ্ত কার্যকর সমাধানগুলো মাঠ পর্যায়ে সফল ভাবে বাস্তবায়নের জন্য এ দুইটি প্রতিষ্ঠান এটুআই এর সাথে কাজ করবে। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ ভৌগলিক গঠন অনুযায়ী সারা বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের এলাকার জন্য মাটির উপরের পানি ব্যবহার করে সেচ এর সমাধান আহ্বান করা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো খরা প্রবণ, লবাণাক্ত, চরাঞ্চল, পাহাড়ী এবং বিল/হাওড়/বাওড়।

ইউএনডিপি এবং ইউএসএইড-এর কারিগরি সহায়তায় একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আসা অসংখ্য উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা থেকে বাছাই হয়ে সেবা প্রদানে সবচেয়ে বেশি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনাসমূহ স্বল্প আকারে স্বল্প সময়ে পাইলট প্রকল্প আকারে বাস্তবায়নের জন্যে সীমিত অনুদান পাচ্ছে। পাইলট শেষে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়ে উদ্ভাবনী সেবাটি দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার সাফল্যের ধারাবাহিকতায়ই ‘চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ নামক প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে; যার মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে মাটির উপরে প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যকর সেচ পদ্ধতির দেশসেরা মডেল পাওয়া যাবে বলে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম আশা করছে।

সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়্যারম্যান ড. আকরাম হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং এটুআই প্রোগ্রামের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।