পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, খুশি চাষিরা

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৯:২৪

খেলাফত হোসেন খসরু
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় তরমুজ ও বাঙ্গির বাম্পার ফলন।

পিরোজপুর ইন্দুরকানী উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির চাষ হয়েছে। বাজারে এসব ফলের দামও ভালো। অন্যান্য বছর বাঙ্গির কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ হলেও এবার খুশি চাষিরা। রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রতিবছর উপজেলায় বাঙ্গি ও তরমুজ চাষ করা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহর ও হাট-বাজারে যায় এই ফল। প্রতিদিন উপজেলার বালিপারা, চন্ডিপুর, ঘোষেরহাট বাজার থেকে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয় বাঙ্গি।

উপজেলার প্রধান বাঙ্গির বাজার বালিপাড়া, ঘোষেরহাট ও চন্ডিপুর ইন্দুরকানী পত্তাশী হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই চাষিরা তাদের বাঙ্গি, তরমুজ নিয়ে হাজির হয়েছেন বাজারে। বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন বাঙ্গি কিনতে। প্রকার ভেদে একশ’ বাঙ্গি তিন হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় চাষি সামিম শেখ বলেন, এক বিঘা (৫২ শতাংশ) জমিতে বাঙ্গি ও তরমুজ চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ বছর এক বিঘা জমিতে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাঙ্গি তোলার পর সেই জমিতে ধান চাষ করা যায়। একই জমিতে দুই ধরনের ফসল চাষ করতে পেরে আমরা বেশ লাভবান হচ্ছি।

বালিপাড়া গ্রামের চাষি বাবুল শেখ জানান, ৭৮ শতাংশ জমিতে বাঙ্গি চাষ করতে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোজার শেষ পর্যন্ত বাজারে চলমান দাম থাকলে প্রায় এক লাখ টাকা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

বাজারের বাঙ্গি ব্যবসায়ী রহিম শেখ জানান, স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায় এই বাজারের বাঙ্গি। বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে পাইকারী ব্যবসায়ীরা আসেন। এ বছর বাঙ্গির দাম ভালো। প্রকার ভেদে একশ’ বাঙ্গি তিন হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ী রফিকুল হোসেন বলেন, রোজার সময় প্রতিবছরই এখানে আসি বাঙ্গি কিনতে। এখান থেকে বাঙ্গি, তরমুজ কিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করি। একশ বাঙ্গি চার হাজার টাকায় কিনেছি, আবার একটু বড় আকারের একশ কিনেছি ছয় হাজার টাকায়।

ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাত জাহান ইশা জানান, ‘এবছর উপজেলায় প্রায় ৪০/৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও তরমুজ চাষ করা হয়েছে। অনেক পুষ্টি গুনে ভরা এই ফল গরমে পানির পিপাসা মিটায়। এই ফলের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। আমরা তেমন সহায়তা করতে পারিনাই বাঙ্গি চাষিদের, কিন্তু সব সময় তদারকি ও পরামর্শ দিয়েছি। আগামি বছর যাতে করে আরও বাঙ্গিচাষির সংখ্যা বেশি হয় সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত