‘উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশি আবাসিক খাতে ব্যবহার হচ্ছে’

প্রকাশ | ২২ জুন ২০১৭, ১৪:৩৭

অনলাইন ডেস্ক

দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের অর্ধেকের বেশিই ব্যবহৃত হয় আবাসিক খাতে। এ খাতে ব্যয় হয় ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া শিল্প খাতে ৩৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক খাতে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বিদ্যুত ব্যয় হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের এমপি ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে ‍উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট। দৈনিক চাহিদা গড়ে সাড়ে আট হাজার থেকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ শতাংশ করে চাহিদা বাড়ছে।

সংরক্ষিত আসনের পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চুরি অতীতের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। তারপরও কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে অসাধু গ্রাহকরা বিদ্যুৎ চুরি করে থাকে।’

সরকার দলের হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের হার ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সিস্টেম লস ১৬.৮৫% হতে ১৩.১০% এ হ্রাস পেয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।’

রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাসের অবৈধ সংযোগের প্রকৃত কোনও তথ্য সরকারের জানা নেই। তবে আবাসিক খাতে ব্যবহৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য রয়েছে। বর্তমানে চিহ্নিত অবৈধ গ্যাস সংযোগের ডাবল বার্নারের সংখ্যা এক লাখ ৮ হাজার ৮শটি। এতে মাসে প্রায় ৯ এমএমসিএম গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।