ডিমলায় শিক্ষকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২২ জুন ২০১৭, ১৮:৩৪

এম ইসলাম সুজন

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে সভাপতি পদে পারজিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঠাকুরগঞ্জ গ্রামে। 

অগ্নিকান্ডে প্রাণে বেঁচে গেলেও সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছেন প্রধান শিক্ষক মো. সফিউল ইসলাম।

এঘটনায় একটি মামলা দায়ের হলেও ডিমলা থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় বুধবার (২১ জুন) বিকেলে মানববন্ধন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

মামলার বাদি ডিমলা কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সফিউল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল কালিগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পরাজিত হন সভাপতি প্রার্থী তফুরুল ইসলাম। এর পর ২৫ মে সহ-সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনেও প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন তফুরুল ইসলাম। আমার কারণে পরপর দুই বার নির্বাচনে পরাজিত হন এমন অভিযোগ এনে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩১ মে গভীর রাতে তফুরুল ইসলাম তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে সারা বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে আমাকে স্বপরিবারে হত্যা করার উদ্যেশ্যে।

ওই দিন স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আমি রংপুরে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে গেলেও আগুনে আমার সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়। ওই দিন থেকে প্রতিবেশীর বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রিত আছি। 

এই ঘটনার গত ৪ জুন তফুরুলসহ ছয় জনের নামে ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। মামলা দায়েরের ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার বিকালে ঠাকুরগঞ্জ বাজারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের সহ্রসাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।