রামগতিতে মামলার সাক্ষীকে এসিডে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার সাক্ষীকে রাতের আঁধারে এসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধায় নিজ বাড়িতে সন্তানদের পড়ালেখা করানোর সময় খোলা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তদের ছোড়া এসিডে ঝলসে গেছে মুরতি রানী দাস নামের এক গৃহবধূর শরীর। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে মুরতি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) তে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি পৌর ২নং ওয়ার্ডের সুদেব মাষ্টারের বাড়ির কর্ণজিতের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত গত ১০ নভেম্বর (শুক্রবার) স্থানীয় মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীরা মুরতির বাবা নারায়ন দাসের বাড়ির সামনে মাদকের আসর বসায়। এ নিয়ে মাদকসেবীদের সাথে নারায়ন দাসের পরিবারের লোকজনের কথাকাটির একপর্যায়ে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী সন্ত্রাসী শরৎ চন্দ্র দাসর ছেলে আশু চন্দ্র, সুবল দাসের ছেলে যতন দাস, বিনোদ সর্দারের ছেলে অরুপ দাস, শ্যামল দাসের ছেলে সংগত সহ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা নারায়ন দাসের পরিবারের লোকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের পরিবারের নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার পর নারায়ন দাসের মেয়ে আরতি রানী বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আমলী অঞ্চল, রামগতি, লক্ষ্মীপুর একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। মুরতি ওই মামলার একজন সাক্ষী।

এ বিষয়ে নারাযন দাস বলেন, আমি একজন অন্ধ। আমার কোন ছেলে নেই, ৬টি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীরা আমার পরিবারের লোকজনের উপর নানান ধরনের নির্যাতন করে আসছে। স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে আমার মেয়ে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। এ ঘটনার পর তারা আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি মারাত্মক আতংকে দিন যাপন করছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর অজয় বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। কোন পক্ষই আমার কাছে আসেনি।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ