রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণের আদেশ আজ

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৮, ১১:০২ | আপডেট: ২২ মে ২০১৮, ১১:১২

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর প্রাণ হারানো রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিআরটিসির আবেদনের ওপর আপিল বিভাগ আজ আদেশ প্রদান করবেন।

আজ মঙ্গলবার (২২ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যর বেঞ্চ এ আদেশ দিবেন। 

এর আগে সোমবার (২১ মে) সকালে আপিল বেঞ্চ বিআরটিসির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ১৭ মে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। আজ বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

গত ৮ মে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাজীবের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহন। প্রতিষ্ঠান দুটি ২৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা আগামী এক মাসের মধ্যে যৌথ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রাজীবের পরিবারকে দিতে হবে। টাকা পরিশোধের পর আগামী ২৫ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাকি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধের দিন পরে নির্ধারণ করা হবে।

গত ১০ মে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে বিআরটিসি। গত ১৩ মে বিআরটিসির আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৭ মে দিন ঠিক করেছেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান ছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর পরই তাঁকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরের দিন ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রাজীব।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। কখনো টিউশনি করে, কখনো বা পার্টটাইম কাজ করে নিজে পড়াশোনা করেছেন এবং দুই ভাইকেও বানিয়েছেন কোরআনের হাফেজ।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর