ইসাবেলা ফাউন্ডেশন সম্মাননা পেলেন ভ্যালরী টেইলর

প্রকাশ | ২৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৫৭ | আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৬

ছবি: আবুল বাশার শিবলী

ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুণীজন সংবর্ধনা পেলেন সিআরপি'র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক মহীয়সী নারী ড. ভ্যালরী এ টেইলর, যিনি সুদূর ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে  ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে সমাজের পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

প্রতিবারের মতোই দুইজন ব্যক্তি ও একটি সংগঠনকে এ সম্মাননা প্রদান  করেছে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন। গুণীজন সংবর্ধনার জন্য এবারের মনোনীত ব্যক্তিদ্বয় হলেন ভ্যালরী টেইলর এবং যশোধন প্রামাণিক; মনোনীত সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসাবেলা ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এরপর ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের বিস্তৃত কার্যক্রমের ওপর নির্মিত বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, এবং পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত । স্কাইপের মাধ্যমে দুবাই থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী ডক্টর রেজা খান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একদল উদ্যমী গবেষকের হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন। বিশিষ্ট সমাজসেবক ও লেখক সৈয়দা ইসাবেলার নামানুসারে তাঁর সুযোগ্য সন্তান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ার এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা।

 এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদী, সোনাদিয়া দ্বীপ, হাঁসের দ্বীপ, টাঙ্গুয়ার হাওর, সেন্টমার্টিন, রেমাকালেঙ্গা, দিনাজপুর রামসাগর ও শাল বন, তাওয়াকুচা বন (ঝিনাইগাতি, শেরপুর), সাঙ্গু রিজার্ভ ফরেস্ট ও সাঙ্গু নদী এবং মাতামুহুরি নদীসহ বিভিন্ন স্থানে সফলভাবে নিজেদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে ইসাবেলা গবেষণা টিম দুটি সফল গবেষণা অনুসন্ধান চালিয়েছে। 

অন্যদিকে, দেশজুড়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেছে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন।