ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: জেএসডি

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২১, ২২:৪৮

সাহস ডেস্ক

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গণমাধ্যম রুদ্ধ করার কালো আইন হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ভয়াবহ অপচয়, ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ও নজিরবিহীন অপশাসনে জনগণের ক্ষোভ এবং বিদ্রোহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে। এর লক্ষ্য রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষা নয়, জনগণের রোষাণল থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখা। এই কালো আইন অচিরেই বাতিল করতে হবে।

১৭ মার্চ (বুধবার) "ফ্যসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক দিবস" উপলক্ষে বিকাল ৪টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

কার্যকরী সভাপতি (সাবেক জেলা ও দায়রা জজ) সা কা ম আনিছুর রহমান খান কামাল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক জনাব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সহ সভাপতি কে এম জাবের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোশাররফ হোসেন মন্টু, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, এডভোকেট সামছুদিন মজুমদার, হাজী আখতার হোসেন ভুইয়া, আবুল মোবারক, এডভোকেট আফজল হোসাইন, এডভোকেট শেখ নাজিম উদ্দীন, আনিসা রত্না প্রমুখ।

সভাপতির ভাষণে সা কা ম আনিসুর রহমান খান বলেন, সরকারের ভোট চুরির সাথে লজ্জা চুরি হওয়াটা আরো ভয়ঙ্কর। সরকার জনগণের ভোটে জয়লাভ করেছে বলে অহরহ উল্লাস প্রকাশ করায় প্রমাণ হয় ভোটচুরির সাথে সরকারের লজ্জাও চুরি হয়েছে।

আলোচনা সভায় কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, জাতির কত বড় দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এমন একটি অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসীন, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রতিনিয়ত বিকৃত এবং মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করে জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

উল্লেখ্য, আজ ১৭ মার্চ ফ্যাসীবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক দিবস। ১৯৭৪ সালর এই দিনে শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, লুটপাট, গুম-খুন, রক্ষীবাহিনীর হত্যা-গ্রেপ্তার ইত্যাদির প্রতিবাদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ/জেএসডি পল্টন ময়দান থেকে লক্ষ মানুষের মিছিল নিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মনসুর আলীর নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদানের জন্য রওয়ানা হয়। মিছিলটি মিন্টু রোডের কাছাকাছি পৌঁছলে রক্ষীবাহিনী ও পুলিশ বৃষ্টির মত গুলি চালিয়ে বরিশাল বি এম কলেজের জি এস জাফর ও সিটি কলেজের জি এস জাহাঙ্গীরসহ অগনিত মিছিলকারীকে হত্যা করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আ স ম আবদুর রব ও মেজর জলিলসহ অগনিত নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। গুঁড়িয়ে দেয় গণকণ্ঠ পত্রিকা অফিস। পরদিন ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয় জাসদ/জেএসডি কার্যালয়ে। এরপর থেকে জেএসডিসহ সমমনা সংগঠন সমূহ প্রতিবছর এ দিনটিকে ফ্যাসীবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক দিবস হিসাবে পালন করে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত