ডাকাতি মামলায় ফেনী গোয়েন্দা বিভাগের ওসিসহ ৬ পুলিশের রিমান্ড

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২১, ১৮:২৪

সাহস ডেস্ক

চট্টগ্রামে ডাকাতি মামলায় ফেনীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ ছয় কর্মকর্তার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১১ আগস্ট) এ আদেশ দেন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ খান। সাইফুল ইসলামের ৪ দিনের এবং বাকি কর্মকর্তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল মঙ্গলবার ১০ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। নগরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয়।

রিমান্ডে নেয়া বাকি পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- এসআই মোতাহের, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক, এএসআই অভিজিৎ রায় ও এএসআই মাসুদ রানা।

অভিযোগ জানা যায়, ৮ আগস্ট (রবিবার) স্বর্ণের ২০টি বার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম শহরের হাজারী গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাশ । ফেনী পৌঁছার পর হঠাৎই তার গাড়ির পথরোধ করেন গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। এ সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে থাকা প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ২০টি স্বর্ণের বার তারা ছিনিয়ে নেন। তবে মামলা ও কোনো প্রাপ্তিপত্র ছাড়াই রাত আটটার দিকে ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেন ডিবি পুলিশের ওই কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার উক্ত ব্যবসায়ী ফেনী মডেল থানায় বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম ভুইয়াসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এক তদন্তের পর এই ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে জেলা পুলিশ।

ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশের ওই সদস্যরা তার গাড়ি থামান। ওই সময় তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে যান তারা। এই ঘটনার পর গোপাল কান্তি তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে চারজনকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে অন্য দুজনকে আটক করা হয়।

বাকি পাঁচটি স্বর্ণবার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, স্বর্ণবারগুলো বৈধ না অবৈধ তা তদন্ত করা হচ্ছে।

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত