‘আমরা আছি’ জানান দিয়ে কোনো লাভ নেই- বিএনপিকে নানক

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২১, ১৯:৫৬

সাহস ডেস্ক

'ধর্মনিরপেক্ষতার বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সুযোগ নেই' উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দিল্লি কা লাড্ডুর মতো আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর "আমরা আছি"- এরকম জানান দিয়ে কোনো লাভ নেই।'

আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ দারুস সালাম থানা আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।

এসময় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ১৫ আগস্ট শহিদদের মাগফিরাত কামনা ও করোনাভাইরাস মহামারিতে অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

নানক বলেন, ভারতের নির্বাচনে মোদি সাহেব যখন জয়লাভ করলেন, তখন রসগোল্লা খেলেন এবং রসগোল্লা বিলালেন। ভাবখানা যেন দিল্লির মসনদে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। বিজেপি নেতা মোদি এসেছে। কাজেই খালেদা জিয়াকে সুন্দর সাজুগুজু করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, সেইদিনও আপনারা উল্লাস করেছিলেন। আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর গতকাল আপনারা জানান দিয়েছেন, আমরা আছি। এই জানান দিয়ে কোনো লাভ নেই। এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা যাবে না।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা বিএনপি মহাসচিবকে স্মরণ করিয়ে নানক বলেন, সেই আগস্ট মাসে গতকাল আকস্মিক কর্মসূচি দিলেন। হঠাৎ কর্মসূচি দিলেন, তখনই বুঝেছিলাম ডাল মে কুচ কালা হ্যায়?

২০০১ সালের বিএনপি-জামাতের ১০০ দিনের কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার কর্মসূচি আখ্যা দিয়ে নানক বলেন, আমরা কিন্তু ভুলি নাই। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে একশ দিনের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। সেই একশ দিনের কর্মসূচি ছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করার। তাদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করা। তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানোর। আপনাদের কিন্তু সেই দিনের কথা ভুলে গেলে চলবে না।

বিএনপির সেই শাসনামলে সাবেক অর্থমন্ত্রী এস এম কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুর ইমামসহ সারাদেশে অনেক নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে সেই দিনের সেই ঘটনার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলামের কাছে তার জবাব চান আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক।

মির্জা ফখরুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনি বলেছেন, আমাদের সহযোগী সংগঠন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেছে? তারা কারো বাধা মানে না। যদি তাই হতো তাহলে গতকাল তেজগাঁও'র ডিসি সাহেব আপনাদের আক্রমণে আহত হতে পারত না। গতকাল যদি আমাদের সংগঠন মোতায়েন করতাম তাহলে এই ২৭ জন পুলিশ আহত হতো না।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজহার আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, দফতর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন দারুসসালাম থানার সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরিদুল হক হ্যাপী।

সাহস২৪.কম/জেএস/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত