প্যানেল মেয়রকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৪:২৯ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৪:৩৪

অনলাইন ডেস্ক

নাটোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আরিফুর রহমান মাসুমকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাকে গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌরসভার ৭ জন কাউন্সিলর। গতকাল সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নান্নু শেখ। লিখিত বক্তবে বলা হয়, গত ২৪ আগষ্ট পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে প্যানেল মেয়র আরিফুর রহমান মাসুম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তার ওপর হামলা চালায়। 

এ সময় তাকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়। প্রকাশ্যে এভাবে হামলা করায় তিনি নিজে বাদী হয়ে নাটোর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন। মাসুম এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পৌরসভায় অন্য কাউন্সিলরদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এরপরও সে নিজেই মানববন্ধনসহ সংবাদ সম্মেলন করে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন। অন্যায় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সকল কাউন্সিলর একত্মতা ঘোষনা করেছে মাসুমের বিরুদ্ধে। মাসুমের এই সকল অন্যায়ের সঠিক তদন্ত করে মাসুমকে গ্রেফতারের দাবী জানানো হয় সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় ৩ নং ওয়ার্ডবাসীসহ পৌরসভার সাধারন ও সংরক্ষিত আসনের ৭ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর নান্নু আরো জানান, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১ নং প্যানেল মেয়র আরিফুল রহমান মাসুম একজন সন্ত্রাসী। তিনি তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে নিজ দলের কর্মী সমর্থক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং নির্দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিবারই হত্যা, খুন, জখমের শিকার হন। মাসুমের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ালেই তার উপর চলে নির্মম নির্যাতন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম হোসেনকে ২০১১ সালে নাটোরের মুড়ি পট্টিতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় মাসুম এবং তার ক্যাডার বাহিনী। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা মিজান মাস্টারকে তার ক্যাডাররা হত্যার উদ্দেশ্যেই মারপিট করেছিল। যুবলীগ নেতা পলাশকে গুলি করা, আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাড়ি পোড়ানো এবং সহকর্মী বিভিন্ন কাউন্সিলরদের মারপিট করা পৌরসভার কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মারপিট করা তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। 

এছাড়াও নাটোরের বৃহত্তম বাজার নিচাবাজার এলাকার কোনো মানুষই তাকে চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন না। এমনকি কোন জায়গা কেনা, বাড়িঘর তৈরি কোনোটিতেই চাঁদা ছাড়া কেউ কাজ করতে পারেন না। 

এই অভিযোগের বিপরীতে কাউন্সিলর মাসুম জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তিনি আরো বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে নান্নু শেখ যা বলেছেনে তার কোনো সত্যতা নেই। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আজ জেলা আওয়ামী লীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক। আমি বিএনপির দ্বারা নির্যাতিত। তাদের মতো বিএনপি থেকে আমি আওয়ামী লীগে আসি নাই। আমার ত্যাগের কথা সকলেই জানে’।

সাহস২৪.কম/জিজি