ইসি গঠনে সার্চ কমিটি জন্য রাষ্ট্রপতির ভূমিকা চয় জাসদ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। এ সময় জাসদ বলেছে, তুলনামূলক উপযুক্ত ও দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সার্চ কমিটি গঠনই হবে একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাসদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে বসেন। এসময় তারা রাষ্ট্রপতিকে একটি লিখিত প্রস্তাব দেন।

আলোচনার শুরুতেই ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ায় রাষ্ট্রপতি সাধুবাদ জানান জাসদের নেতারা। সংলাপে জাসদ নেতারা রাষ্ট্রপতিকে তাদের মতামত জানান।

জাসদ বলছে, সংবিধানে নির্বাচন কশিমন গঠনের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের তাগিদ থাকলেও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আইন প্রণীত না হওয়াটা দুঃখজনক। এমন পরিস্থিতিতে জাসদ মনে করে, তুলনামূলক উপযুক্ত ও দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সার্চ কমিটি গঠনই হবে একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া।

ইসি গঠনে সার্চ কমিটি করতে দেওয়া মতামতে জাসদ জানায়, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়াকে সুনির্দিষ্ট ও স্থায়ী কাঠামোগত রূপ দেওয়াসহ সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সব বিতর্কের অবসান করা প্রয়োজন।

জাসদ আরও মনে করে, সার্চ কমিটি গঠনে সরাসরি কোনো ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা সমীচিন নয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকসহ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকেই সার্চ কমিটির সদস্য মনোনয়ন দেওয়া সমীচিন।

জাসদ নেতারা আশা করেন, রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিআইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন।

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পাঁচ বছর পর পর যেন ইসি গঠন করতে গিয়ে বিব্রত হতে না হয়, সে কারণেই তারা এই আইন প্রণয়ন এবং আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।

সংলাপে অংশ নেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারেফ হোসেন, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার ও রেজাউল করিম তানসেন।