জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির যাবজ্জীবন, খালাস ৪

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৩৩

সাহস ডেস্ক

চার বছর আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সাবেক অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ এবং লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি হামলাকারী ফয়জুল হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মামলার অপর আসামি ফয়জুলের বন্ধু মো. সোহাগ মিয়াকে ৪ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া মামলার বাকি ৪ আসামি ফয়জুল হাসানের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। তা নিশ্চিত করেন আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু। গত ২২ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য করেছিলেন বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব।

অ্যাডভোকেট মমিনুর রহমান টিটু জানান, গত ১০ মার্চ চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর ২১ ও ২২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবীরা। বর্তমানে এই মামলার ৬ জন আসামির সবাই সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন জামিনে থাকলেও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মমিনুর রহমান টিটু সাংবাদিকদের বলেন, বিচারক ফয়জুলকে যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে হামলার শিকার হোন জনপ্রিয় লেখক ড. জাফর ইকবাল। ফয়জুল হাসান নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপুর্যপরি আঘাত করে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকেরা হাতেনাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন হামলাকারী ফয়জুলকে। পরে জাফর ইকবালকে আহত অবস্থায় নগরের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসা দেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। এই ঘটনায় শাবি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে পরদিন সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় মামলা করেন।

একই বছরের জুলাই মাসে ফয়জুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। পরে ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় বিচারকাজ। মামলার অপর আসামিরা হলেন, ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত