সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ৯ জনের ১৭ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২২, ১৭:৫৩

অনলাইন ডেস্ক

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনকে পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম জানান, রায়ে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য আসামিদের প্রত্যেকের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। ওই জরিমানা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবে। এছাড়া প্রতারণার দায়ে আসামিদের প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। ফলে আসামিদের ১০ বছর করে কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডিতরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নীট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। রায়ের সময় চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম জানান, আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই জরিমানা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবে।

২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপ সহকারি পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারি পরিচালক মশিউর রহমান।

এ মামলার আসামিরা হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে দায়ের করা দুদকের  মামলার সাথেও জড়িত। ওই সময় বরখাস্ত এমডি হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন আদালত। কিন্তু তিনি পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হল-মার্ক গ্রুপ জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ সময় হুমায়ুন দেশের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকের এমডি ও সিইওয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

এ আগে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের আরেক মামলায় ২০২১ সালে হুমায়ুন কবীরসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালত। 

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.