বসিলা জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ‘ফায়ার এক্সিটের চিহ্নই ছিলো না’

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২২, ০৩:২৭

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কেমিক্যাল কনটেইনার বিস্ফোরণের পর রাজধানীর বসিলার আবাসিক এলাকার একটি জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০৭ জুন) রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বসিলার সিটি ডেভলাপার হাউজিংয়ের আহমেদ ফুটওয়ার কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান রাত ১টা ০৫ মিনিটে বলেন, আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে ‘ফায়ার এক্সিটের কোনও চিহ্নই ছিলোনা’। তিনি বলেন, “এ ধরণের ফ্যাক্টরি করলে মিনিমাম দুইটা সিঁড়ি রাখতে হয়। ওদের একটা ছিলো। যার জন্য অগ্নি নির্বাপণ কর্মীদের কাজ করতে প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে।” এ ঘটনায় কোনও মামলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এর জন্য আমার হায়ার অথোরিটির সাথে আলাপ করবো। পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য না করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন কারখানার মালিক মি. রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় কয়েকজন এ আগুন দেখতে পান। চারিদিকে হৈরৈ শুরু হলে প্রথমে কারখানার নিজস্ব পানির পাইপ দিয়ে কিছুটা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করার আধা ঘন্টা পর তারা এসে আগুন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
ফায়ার সার্ভিসে প্রথম কল করেন ব্যাংকার আলামিন খান। ১০ টা ৩৫ এ তার কল করার প্রায় ত্রিশ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। তিনি বলেন, জুতার ফ্যাক্টরিতে আঠা, রাবার, ফোম, লেদার জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন বেশি পরিমাণে হচ্ছিল। “আমরা সবাই ভয়ে আছি কেমিক্যালের একটা বিষ্ফোরণের ইস্যু শুনেছি। একদিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে অন্যদিকে জ্বলতে শুরু করছে।”

রাত ১০ টা ৩০ এ আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটো ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান। তিন তলা ভবনের টিনশেডের ছাদে আগুন দেখতে পেয়ে খবর দেন হাজারিবাগ স্টেশনেও। “পরে হাজারীবাগ ফায়ার সার্ভিসের আরো দুটি ইউনিট এলে চারটি ইউনিট মিলে আমরা কাজ শুরু করি,” বলেন তিনি।

ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “জুতার কারখানাটিতে ছাদে ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা কম ছিল। কারখানায় মাত্র একটা সিড়ি থাকার কারণে আমাদের কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। দুইটা সিড়ি থাকলে আমরা দুইদিকে এট্যাক করলে হয়তো ঘন্টাখানেকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতাম।”

ডানে বামেও কোন ভ্যন্টিলেশন ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার কর্মীগণ প্রচণ্ড ধোঁয়ার মধ্যে স্মোক ইজেক্টরের মাধ্যমে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন করতে সম্ভব হয়েছে।”

ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা এখনও কাজ করছি। অগ্নি নির্বাপন শেষে যাচাইবাছাই করবো। তারপর আমরা বলতে পারবো আগুন কীভাবে লেগেছে। যে ফ্লোরে আগুন লেগেছে সেখানে কিছু রাবারের জিনিস ছিল। কাটুন ছিলো, জুতার সোল ছিলো যার জন্য ধোঁয়াটা বেশি হয়েছে।”

“আমার জানামতো আগুনে কোনও আহত বা নিহতের ঘটনা আমি শুনিনি”, বলেন তিনি।

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত