থামছেই না বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে জামালপুর

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ১৯:২০

সাহস ডেস্ক

জামালপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র বালু খেকোদের দখলে, নদের এই ভরা যৌবনেও কোনভাবেই থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ব্যবসা। জামালপুর জেলা শহরের পাথালিয়া, ছনকান্দা থেকে সদর উপজেলার নান্দিনা,বানার, তালতলা সহ নরুন্দি এবং পিয়ারপুর এলাকায় অবৈধ ড্রেজার এবং বাল্ক হেড দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বালু উত্তোলন কিংবা পরিবহনে যুক্ত শ্রমিকরা শাস্তির মুখে পড়লেও ব্যবসায়ীরা অধরা থেকে যায়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার তোলা হচ্ছে বালু,মূহুর্তেই হচ্ছে ট্রাকের সারি, কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না তাদের।

ইতঃপূর্বে ছনকান্দার দুই জায়গায় ভাঙ্গনের ফলে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে তা রোধ করে। জামালপুর মুক্তাগাছা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবৈধ ড্রেজিং এর ফলে ভবিষ্যতে মহাসড়ক ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে, অপরদিকে পানি মিশ্রিত বালুমহাসড়কের বিটুমিন ক্ষয়ে যেতে ভূমিকা রাখছে।

নান্দিনা বাজারের নদীতীরবর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসাবাড়ি রয়েছে চরম ঝুঁকিতে, ভ্রাম্যমাণ বাল্ক হেড ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনকারীরা বাজার এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়। এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা কাউকেই তোয়াক্কা করে না,তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না।

অভিযোগ রয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা জোরপূর্বক অন্যের আবাদি জমি বালু ব্যবসার জন্য নিয়ে যায়। অবৈধ ড্রেজিং কিংবা অনিয়ন্ত্রিত বালু খেকোদের বিষয়ে বারবার কথা বললেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এ যেন সরিষার মধ্যে ভূত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নদী ভাঙ্গনের বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করলেও বালু উত্তোলন কারীদের বিষয় আমাদের সরাসরি করণীয় কিছু নেই, প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ আছে জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসনের।

বালু উত্তোলনের বিষয় নিয়ে জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান জানান, অল্প কিছুদিন আগেই বালু উত্তোলনে যুক্ত কয়েকজন কে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে  শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত