নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ১৭:১৯

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এবং স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল' এবং হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের ব্যানারে বুধবার (০৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আদালত সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আরও এক আসামিকে  তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (০৬ জুলাই) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামির নাম নূরন্নবী (৪৫)। এর আগে গত ৩ জুলাই আরও চার আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। এদিকে, অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতসহ সহিংসতার 

কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন-বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহেল বাকী, বীরমুক্তিযোদ্ধা এস এ মতিন, ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম, জাসদ নড়াইলের সভাপতি হেমায়েত উল্লাহ হিরু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস, অ্যাডভোকেট কাজী বশিরুল হক বশির, কলেজশিক্ষক মলয় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন, ব্যবসায়ী আব্দুল মকিত লাবলুসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, ফেসবুকে বির্তকিত পোস্ট দেওয়া মির্জাপুর কলেজের শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, ঘটনার উস্কানিদাতা শিক্ষকদের চিহিৃত করে চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়া এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। এছাড়া ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ বিচারের দাবি জানানো হয়।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বির্তকিত রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখে-প্রণাম নিও বস 'নূপুর শর্মা' জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেওয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসে রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত