হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলার তিনদিন পর উদ্ধার

প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২২, ১৭:২৭

তাজুল ইসলাম তছলিম, হাতিয়া
ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। ছবিটি হাতিয়ার জাহাজমারা মোহাম্মদ আলী সুইজ থেকে তোলা।

নোয়াখালী হাতিয়ার বঙ্গোপসাগরে এমভি আয়েশা নামে মাছধরা ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার তিনদিন পর উদ্ধার করেছে জেলেরা। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে অন্যান্য ট্রলারের সহযোগীতায় এটি হাতিয়ার জাহাজমারা মোহাম্মদ আলী স্লুইস ঘাটে নিয়ে আসেন জেলেরা।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্ধার করা ট্রলারটি পানিতে ডুবে রয়েছে। এর এক পাশে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে সহজে পানি ডুকছে ট্রলারের মধ্যে। এতে ট্রলারের কোল্ডস্টোরে থাকা মাছ পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চার পাশে। ট্রলারের মাঝি মাল্লার সেই মাছ নদীতে পেলে দিচ্ছেন।

ট্রলারের মালিক হাতিয়ার জাহাজমারা ইউপি সদস্য মোঃ খোকন জানান, অন্য একটি ট্রলার তার মালিকানা ট্রলারটিকে পাশ থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারের পাশের একটি অংশ ভেঙে যায়। এ সময় জোয়ারের স্রোতে ট্রলারে পানি ডুকে কাত হয়ে ডুবে যায়। পরের জাহাজমারা জংগলিয়ার ঘাটের একটি ছোট ট্রলার ১৮ মাঝি মাল্লারদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, ট্রলারের প্রায় ১০ লাখ টাকার জাল ও অন্যান্য মালামাল নদীতে ভেসে যায়। পানি ডুকে পচে গেছে ট্রলারে থাকা প্রায় ৮ লাখ টাকার ইলিশ মাছ। গত মঙ্গলবার সকালে ট্রলারটি মাছ ধরে ঘাটের আসার পথে অন্য একটি ট্রলারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এব্যাপারে তিনি হাতিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। 

সাগরে  ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি নেছার উদ্দিন জানান, সাগর উত্তাল ছিল, মাছও পাওয়া গেছে প্রচুর। ট্রলারে ৫ হাজারের মত ইলিশ মাছ ছিল। ট্রলার নিয়ে ঘাটে আসার পথে হঠাৎ একটি ট্রলার এসে পাশ থেকে তাদের ট্রলারটিকে আঘাত করে। এতে প্রবল জোয়ারের স্রোতের মুখে পড়লে উল্টে যায় এটি। পরে সাঁতরিয়ে মাঝি মাল্লারা সবাই অন্যান্য ট্রলারে গিয়ে উঠে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আমির হোসেন বলেন, সাগরে মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনায় ট্রলারের মালিক থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তার অভিযোগ ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে অন্য একটি ট্রলার আঘাত করেছে। তবে কারো নাম উল্লেখ করতে পারেনি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত