মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, উদ্ধার...

লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের প্রধান রবিউল ইসলাম রবু (৪২)সহ ৫ চোর সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয় ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল ও একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চত করেন লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাংনেথোয়াই মারমা, ডিআই-১ মো. আজিজুর রহমান মিয়া, সদর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত ককর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল প্রমূখ।

পুলিশ সুপার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুওে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। এর ভিত্তিতে সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত মো. হাসান নামে এক মোটরসাইকেল চোরকে আদালত থেকে থানায় রিমান্ডে আনা হয়। হাসান পৌরশহরের বাঞ্চানগর গ্রামের মাইদ্দের বাড়ির রফিক ওরফে গাজা রফিকের ছেলে।

১০ সেপ্টেম্বর ভোরে একপর্যায়ে হাসানের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাউছারসহ অভিযানে নামে পুলিশ। প্রথমে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সীমান্তবর্তী মিরগঞ্জ এলাকা থেকে চোরাইকৃত একটি অটোরিকশাসহ মোবারক হোসেন (৩১), মো. বেলাল (২৫) ও মো. ছাত্তার (৩১)কে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চাঁদপুরের কছুয়া বিতারা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে চক্রের  মূলহোতা রবিউল ইসলাম রবুকে আটক করা হয়। এসময় তার বাড়ি থেকে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। একপর্যায়ে রবুর সহকারি মো. সোহেলকে (৩২) চাঁদপুরের পালাখাল ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আরো দু’টি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়।

রবুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার চাচাতো ভাই জুয়েলের বাড়ি থেকে আরো একটি মোটরসাইকেলসহ মোট ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তবে জুয়েল বাড়ি না থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি। আটক চোর চক্রের সদস্যদের মধ্যে মো. মোবারকের বিরুদ্ধে থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, আটককৃত চোরদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে আরো একটি চুরির মামলা দায়ের করা হবে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। লক্ষ্মীপুর জেলা যানবাহন চুরিসহ সবধরণের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।