প্রেমের ফাঁদে ফেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার দুই

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:২৫

ডিজার হোসেন বাদশা

মোবাইলে প্রেমের সূত্র ধরে নারায়গঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ের বোদায় এসে কথিত প্রেমিকসহ তার বন্ধুদের কাছে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে রাতে অভিযুক্ত প্রতারক প্রেমিকসহ সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আসামিরা হলেন, বোদা উপজেলার সিপাহীপাড়া গ্রামের মহিদুলের ছেলে প্রধান আসামি প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৪) ও বামনপাড়া গ্রামের শাসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। তবে এ ঘটনায় ২নং আসামি প্রসাদখাওয়া গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে আপন (২৫) ও ৩নং আসামি মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও মগরাপাড়া এলাকায় ওয়াই ফাই কল সেন্টারে চাকরি করা অবস্থায় মোবাইলে ওই কিশোরীর পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার আব্দুল মালেকের সাথে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর মাঝে মালেক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পঞ্চগড়ে আসতে বলেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়নগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আসে ওই কিশোরী। এ সময় প্রেমিক মালেক আলমগীরের ইজিবাইকে করে প্রসাদখাওয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৬৫) নামে এক নানার বাড়িতে নিয়ে যায়।

এসময় প্রতারক প্রেমিকের বন্ধুরা বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় বিষয়টি সন্দেহ হয় কিশোরীর। সে নারায়ণগঞ্জ ফিরে যাবে বলে বের হয়ে যায়।  বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে একটি আম বাগানে নিয়ে প্রেমিকসহ অপর ৩ জন কিশোরীর হাত-মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এক সময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন লোক এগিয়ে আসলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বোদা থানা পুলিশকে অবহিত করে। রাতেই এজাহার দায়ের করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী কিশোরী।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায়। তিনি বলেন, ঘটনার দিনেই থানায় অভিযোগ পেয়ে প্রেমিক আব্দুল মালেক ও আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত