ফয়জুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুর্নমিলনী

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১৩:২৫

সাহস ডেস্ক

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আব্দুল আওয়াল খান মজলিশ (ঘটু মিয়া) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফয়জুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। স্বনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আগামী ২৪ ডিসেম্বর বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা বসতে চলেছে ধলেশ্বরী তীরের এ স্কুল প্রাঙ্গণে।

নানা আয়োজনে মুখর করে প্রাক্তন-প্রাক্তনীদের অনন্য স্মরণীয় দিন হিসেবে উপহার দেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। প্রথমবারের মতো এ পুর্নমিলনীতে সারাদেশে  ছড়িয়ে থাকা অন্তত ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশ নিবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা। আগামী ১৬ ডিসেম্বর রেজিষ্ট্রেশনের শেষ সময় বলে ঘোষণা করেছে আয়োজক কমিটি।  

জানা যায়, ২৪ ডিসেম্বর সকালে এক আনন্দ র‍্যালির মাধ্যমে দিনটি শুরু হবে। এরপর সারাদিন আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, মধ্যাহ্ন ভোজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এ আয়োজন। সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আয়োজক কমিটিকে সাহায্য করছে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডিও। তারা মনে করছেন স্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ মিলবে এই আয়োজনে।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান খান মজলিশ বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান সকল শিক্ষার্থীর আনন্দঘন উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাঁকজমকপূর্ণ এক পুনর্মিলনী হতে যাচ্ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করে অভূতপূর্ব এক আনন্দঘন পরিবেশে শামিল হতে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আউয়াল খান মজলিশ ( ঘটুমিয়া) এর ত্যাগের প্রতি আনুষ্ঠানিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই আমরা।

প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক বলেন, আমিও এই বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সুবর্ণ জয়ন্তীর এমন আনন্দঘন মুহুর্তে আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি, যেটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি শুরু থেকেই এই অঞ্চলের মানুষদের আলোকিত করতে ভূমিকা রেখে চলছে এবং আমি চাই আগামী দিনগুলোতেও সুনামের সাথে শিক্ষা সেবা দিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠান আয়োজনে বিন্দুমাত্র খামতি রাখতে চান না আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোশারফ তাজ। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই পুনর্মীলনীর এই দিনটিকে বড় স্মৃতি হিসেবে উপহার দিতে চেয়ে তিনি বলেন, আমরা মিলিত হব আমাদের প্রাণের বিদ্যাপীঠে, যেখানে ফেলে এসেছিলাম আমাদের কৈশোরের কতশত মধুর স্মৃতি,  যে মাটির গন্ধের উন্মাদনা আজও খুঁজে পাই আমার রক্তে, যেখানে আমার -আপনার শেকড়।

সাহস২৪.কম/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত