অগ্নিদগ্ধ পাইকগাছার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, অর্থাভাবে চিকিৎসা ব্যাহত

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৯

শেখ নাদীর শাহ্,খুলনা

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালীর দরগামহল গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী অগ্নিদগ্ধ শিশু মরিয়ম খাতুন বাঁচতে চায়। শীত নিবারণে মাদ্রাসায় সহপাঠীদের সাথে আগুন পোহানোর সময়  অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এই কোরআনের পাখি। বর্তমানে তার সুষ্ঠু চিকিৎসা চালিয়ে নিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তার চিকিৎসা ভার বহনে অক্ষম পরিবার সকলের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

আপনার-আমার ন্যুনতম সহোযোগীতায় সুস্থ্যতার পাশাপাশি আবারো সুষ্ঠ জীবন ফিরে পেতে পারে কোরআনের হাফেজিয়ার ছাত্রী মরিয়ম। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার অসহায় পরিবারের করুণ আর্তি-তাদের মরিয়মকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।

মরিয়ম খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের দরগামহল গ্রামের হতদরিদ্র লিটন গাজী ও মমতাজ বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান। দু’ভাই-বোনের মধ্যে মরিয়ম বড়। ছোটবেলা থেকে পিতা-মাতার স্বপ্ন ছিল একমাত্র মেয়েকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা মেয়েকে প্রায় ৬ মাস আগে ভর্তি করান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়ার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে অবস্থানকালীন প্রায় একমাস আগে শীতের সকালে মরিয়ম সহপাঠীদের সাথে রান্নার চুলার পাশে বসে আগুন পোহানোর সময় অসাবধানতায় আকস্মিক শরীরের চাদরে ছিটকে পড়ে আগুন। মূহুর্তেই আগুন গোটা শরীর ও মাথা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে শরীরের সিংহভাগ আক্রান্ত হয়। তাৎক্ষণিক মাদ্রাসার শিক্ষক-সহপাঠীদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী আত্নীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করলেও বর্তমানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রয়োজন কয়েক লাখ টাকা। যা বহন করা তার অসহায় পরিবারের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়।

এমন পরিস্থিতিতে টাকার অভাবে মরিয়মের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি তার পরিবারের। সেখানে প্রতিটা মূহুর্ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দাবি, অপারেশন ও সার্জারী হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে মরিয়ম। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩/৪ লাখ টাকা।

সন্তানের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনে ব্যর্থ পিতা-মাতা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় নির্বাক হয়ে পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা, তবে কি অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ছোট্ট শিশুর চিকিৎসা? সে কি আর কখনো ফিরবেনা স্বাভাবিক জীবনে? এমন নানা দুশ্চিন্তায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন অসহায় মা মমতাজ বেগম।

সমাজের এমন কেউকি আছেন- যাদের সহযোগিতায় মরিয়ম আবারও ফিরে পেতে পারে সুষ্ঠু স্বাভাবিক জীবন? মরিয়মকে সহযোগীতা করতে তার অসহায় পিতা-মাতা তার মামা মাও: মো: শফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৯১৬-৪২০২২৩ নম্বরের বিকাশ, নগদ ও রকেট নম্বরে সাহায্য কামনা করেছেন।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত