ঘুমন্ত অবস্থায় প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৯

লক্ষ্মীপুরের কমল নগরে গভীর রাতে বসত ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ২৯ জানুয়ারি দিবাগত রাত আড়াইটার কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মমিন ড্রাইভার এর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, সিধেল কেটে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রুমা আক্তারকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রুমার আত্মচিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী এবং স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি ফিরেছে রুমা।

চুরি করতে এসে কুপিয়ে জখম করেছে নাকি পূর্ব কোন শত্রুতার জেরে হত্যা চেষ্টা এই আতঙ্কেই দিন কাটছে প্রবাসী বেল্লালসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের। কে বা কারা রুমাকে কুপিয়ে জখম করেছে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় কাউকে দেখতে পায়নি সে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কমলনগর থানা পুলিশ। 

জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে পার্শ্ববর্তী আনারুল্লা মেস্তরীর ছেলে বেল্লাল হোসেনের সাথে রুম আক্তারের বিয়ে হয়। নিজস্ব তেমন কোন জায়গা না থাকায় বেলালের চাচা মমিন উল্লাহর বাড়িতে একটু দোচালা টিনের ঘর করে বসবাস করে আসছিল তারা।
প্রায় এক বছর আগে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে বেল্লাল প্রবাসে যায়। কুপিয়ে জখম এই ঘটনার পর থেকে ভয়ে আতঙ্কে নিজের ঘর ছেড়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে রুমা আক্তার।

বেলালের চাচা একই বাড়িতে বসবাসকারী মমিন উল্লাহ বলেন, গভীর রাতে রুমার চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে তার ঘরে যাই। গিয়ে দেখি রুমা হাত দিয়ে মাথা চেপে বসে আছে। আমরা গামছা দিয়ে তার মাথা বেঁধে দেই রুমার বাবা ডাক্তার নিয়ে আসলে সে রুমাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। আমরা রুমাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে।

আহত রুমা আক্তার জানান, ঘুমের মধ্যে কে আমাকে কোপ মেরে পালিয়েগেছে আমি দেখতে পাইনি। আমার চিৎকার শুনে সবাই এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রুমার বাবা হাসান মিয়া বলেন, মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা গিয়ে দেখি মেয়ের মাথা থেকে রক্ত ঝরছে। পরে গামছা দিয়ে বেঁধে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাকে যে বটি দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছিল সেই সেই বটিটা ঘরের দরজায় পড়ে থাকতে দেখি।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোলাইমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত