কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কের বেহাল দশা

ছবি: সাহস

২০ লাখেরও বেশি মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। রোগীসহ হাজারো মানুষের প্রতিদিন পদচারণা ঘটে এ হাসপাতাল চত্বরে। কিন্তু হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কটির বেহাল দশায় ভোগান্তি পোহাতে হয় চিকিৎসা প্রত্যাশী ও পথচারীদের। শুধু সড়ক নয়, হাসপাতালটির প্রধান প্রবেশদ্বারে সড়কে ব্যবহৃত রড বের হয়ে প্রবেশপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। হাসপাতালে যাতায়াতের সড়কের ঝাকুনিতে বয়স্ক ও প্রসূতি রোগীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে । তবে সড়কটি মেরামতে সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষের  কোনও উদ্যোগ নেই।

শুধু হাসপাতাল নয়, একই সড়কে সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (ম্যাটারনিটি), যক্ষা ক্লিনিক, মৎস্য অফিস সহ  ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীসহ সাধারণ মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। যেকোনও মুহূর্তে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।    

হাসপাতাল এর নতুন ভবনের মূল প্রবেশপথের নির্মিত সড়কটির ঢালাই উঠে গিয়ে রড বের থাকায় মানুষের পায়ে আঘাত লেগে যেকোনও সময় রোগী  ও বহনকারী যানের   দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে। 

অটোরিকশা চালক বাদশাহ বলেন, রডের মাথা যেমন করে বের হয়া আছে তাতে কখন কখনও গাড়ির চাকা ফুটা হয়ে যায়। 

এক অভিভাবক বলেন,  মেয়েকে ভর্তি করিয়েছি। সারাদিনে কয়েকবার বাইরে যাওয়া-আসা করতে হয়। গেটের ওখানে রডগুলো এমন ভাবে বের হইছে, দেখে ভয়ই লাগে । দ্রুত ঠিক করে দেয়া উচিৎ।

 হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বলেন হাসপাতালের প্রবেশপথ ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি আমি জানি না। গণপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলবো।

হাসপাতালের সামনের সড়কের বিষয়ে পৌর মেয়র মো. কাজিউল ইসলাম বলেন, সড়কটি মেরামতের টেন্ডার হয়েছে। কয়েকদিনে  মধ্যে কাজ শুরু হবে।