সবই কেনা হয় র্যাবের ডিজি ও আইজিপি থাকাকালীন
বেনজীরের গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট ও ১১৩ দলিলের সম্পদ ও জব্দের আদেশ
প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৪, ১৭:৫৬
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র যে সাত জন সাবেক ও বর্তমান র্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, বেনজীর তাদের একজন।
রোববার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা আরও ১১৩টি দলিলের সম্পদ ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক এবং অনেকগুলো কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৮ এপ্রিল সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গত ২২ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, অনুসন্ধানের জন্য কমিশন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
আইজিপি থাকাকালে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫০টি দলিল দিয়ে ৬৩ দশমিক ৯৭ একর জমি কেনেন বেনজীরের পরিবার। র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২৭টি দলিল দিয়ে কেনা হয়েছে ৪৮ দশমিক ১৫ একর জমি।
দুদক আরও জানতে পেরেছে, ২০১৪ সালে বেনজীর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার থাকাকালে পাঁচটি দলিলের মাধ্যমে এক দশমিক ৭৫ একর জমি কিনেছে তার পরিবার।
বেশির ভাগ জমি তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে নিবন্ধন করা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক আইজিপির সম্পদ জব্দের আদেশ দেন।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাপক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সামনে আসে।
ফেসবুকে একটি ভিডিওতে বেনজির তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য গতকাল বেনজীর আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বেশ কয়েকবার কল এবং টেক্সট করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।