ঈদের ছুটিতে পদ্মা সেতু দিয়ে ঘরমুখো মানুষের ঢল

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ১১:৪২

বাসস থেকে সংগৃহীত
বাসস থেকে সংগৃহীত ছবি

আজ শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। তাই সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ দ্বার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজাকে কেন্দ্র করে ঈদমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।

সড়ক ও রেল উভয় পথে পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। যানবাহনের লাইন মাওয়া টোল প্লাজা থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে শ্রীনগর ছাড়িয়ে গেছে। সেতুর টোল প্লাজার মোটরসাইকেল বুথ ছাড়াও ৭ টি বুথে টোল নিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছে না। ভোর থেকেই সারি সারি যান বাহনের লাইন দীর্ঘ হয়। চাপ বেড়ে যান বাহনের লাইন লৌহজং উপজেলার মাওয়া টোল প্লাজা থেকে ৩ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা ছাড়িয়ে যায়। সেতুর টোল প্লাজার মোটরসাইকেল বুথ ছাড়াও ৭ টি বুথে টোল নিয়েও হিমশিম খেতে হয়। সকালে বেশি চাপের কারণে মোটরসাইকেলের বুথ বাড়িয়ে দুটি করা হয়। তবে বেলা বাড়ার পর অন্য যান সামাল দিতে বাইকে বুথ আবার একটিতেই নামিয়ে আনা হয়। বাড়তি চাপে কিছু ঝক্কি ঝামেলা থাকলেও অন্য যে কোন বছরের চেয়ে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ সাচ্ছন্দ্য বাড়ি ফিরছে।  তাই খুশি তারা।

তবে চলন্ত গাড়িতে টোল আদায়ে ১১ মাস আগে পরীক্ষামূলক শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসি এখনো পুরোপুরি চালু করা যায়নি। তাই এর সুফল মিলছে না। কর্তৃপক্ষ বলেছে ঈদে ঘর মুখো মানুষকে নির্বিঘেœ যাতায়াত সব চেষ্টা চলছে। তবে ঈদের আগের ছুটির একযোগে বেশি যানবাহনে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
গত বছরের ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতুতে দ্বিতীয় দফায় বাইক চলাচল শুরু হয়। এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হলে বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হলে কর্তৃপক্ষ বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে।