বিয়ে করতে চাই না, পড়তে চাই
প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪২
আমি বিয়ে করতে চাই না, লেখাপড়া শিখতে চাই। অথচ আমার মা আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার জন্য খুব চাপ প্রয়োগ করছে। এমনকি আমার গায়ে পর্যন্ত হাত তুলছে। আমার বয়স এখনো ১৮ হয়নি। অথচ আমার মা আফরোজা পারভীন জোর করে অর্থের লোভে ঘের ব্যবসায়ীর সাথে আমার বিয়ে দিতে চাই।
এমন অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামের আসাদুজ্জামানের মেয়ে শিউলী পারভীন সুমি।
আপনারা বিয়েটা বন্ধ করুন, প্লিজ হেল্প করুন এমন আকুতি জানিয়ে শিউলী পারভীন সুমি আরো জানান, জন্মসনদ অনুযায়ী আমার বয়স ১৬ বছর তিন মাস। এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করার পর বাবার পরামর্শ অনুযায়ী নানা কাসেদ আলী গাজীর বাড়িতে থেকে সীমান্ত আদর্শ কলেজে ভর্তি হয়ে এইচএসসি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করছি।
এদিকে, আমার মা লেখাপড়া বন্ধ করে বিয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমার বাবা চায় আমি লেখাপড়া করি। কিন্তু মা চাইছেন না। জোর করে বিয়ে দিতে চায়। বিয়ে দেওয়া জন্য গত ১৭ নভেম্বর জোর করে নানার বাড়ি থেকে কালিগঞ্জ নিয়ে এসেছে। মানুসিকভাবে খুব চাপ প্রয়োগ করছে বিয়ের জন্য। আমি বিয়ে করতে চাই না। লেখাপড়া শিখে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই।
সুমির মা আফরোজা পারভীন বলেন, আমার মেয়ের বয়স এখন ১৯ বছর হয়েছে। সার্টিফিকেটে দুই বছর কম দেওয়া হয়েছিলো।
জোরপূর্বক মেয়ের বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক মেয়ে বিয়ের আগে এমন করে। তবে তাকে জোর করা হচ্ছে না। তাছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও চায় সুমির বিয়ে দিতে।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম মঈনুদ্দীন হাসান বলেন, এখই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাহস২৪.কম/রিয়াজ