১৩ জুন শিল্পকলায় ‘হাছনজানের রাজা’

প্রকাশ : ১১ জুন ২০১৯, ১২:০৭

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চে নিয়ে এসেছে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষন শ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে পাঁচ লাখ বিঘার বিশাল অঞ্চলের জমিদার ও মরমী গীতিকবি হাছনরাজাকে নিয়ে নাটক ‘হাছনজানের রাজা’।

বিশিষ্ট লেখক শাকুর মজিদের লেখা ও অনন্ত হিরা-র নির্দেশনায় এ নাটকটি মঞ্চায়িত হবে ১৩ জুন সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে।

‘হাছনজানের রাজা’ নাটকটি প্রাঙ্গণেমোরের ১৩তম প্রযোজনা। এ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরামর্শক হাছন রাজার গানের জনপ্রিয় শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সঙ্গীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু, আলোক পরামর্শক বাংলাদেশের প্রবীন আলোক পরিকল্পক ঠাণ্ডু রায়হান, আলোক পরিকল্পনা তৌফিক আজীম রবিন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ।

‘হাজনজানের রাজা’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন।

নাটকের কথা :

হাছন রাজা (১৮৫৪-১৯২২) বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার একজন সামন্তপ্রভু ছিলেন। পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে পাওয়া বিশাল জমিদারীর মালিকানা চলে আসে কিশোর বয়সে। অর্থ, বেহিসাবী সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে বেপোরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জাগতিক লোভ লালসা, ক্ষমতায়ন, জবরদখল করেও তিনি তার প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে প্রবৃত্ত ছিলেন।

কিন্তু এক সময় তার ভেতরের ভ্রান্তি ঘুচে যায়। মধ্য পঞ্চাশে এসে তিনি ভিন্ন এক মানুষে পরিনত হয়ে যান। তার বোধ হয় যে এ জগত সংসারের সব অনাচারের মূলে আছে অতিরিক্ত সম্পদ। কিছু দিনের জন্য অতিথি হয়ে আসা মানুষেরা আসলে মহা শক্তির কাছে একেবারে নশ্বর। তিনি তার সম্পদ জন কল্যাণের জন্য উইল করে দিয়ে কয়েকজন সঙ্গিনীকে নিয়ে হাওরে হাওরে ভাসতে থাকেন। আর এর মধ্যে খুঁজতে থাকেন সেই মহা পরাক্রমশীল শ্রষ্টাকে। সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় আবিস্কার করেন, তার নিজের মধ্যেই তাঁর বাস। তার যে পিয়ারীকে সবাই হাছনজান বলে জানে, সেই আসলে হাছন রাজা। জগতের মানুষের কাছে যিনি রাজা বলে চিহ্নিত ছিলেন, হাছন রাজার কাছে সে কেউ নয়, বরং পিয়ারী হাছনজানের ভেতরেই প্রকৃত হাছন রাজা বিরাজমান ছিলেন।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত