বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে শিলাইদহে নেই কোন আয়োজন

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৪৭

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ছবি: সাহস

আজ ২২ শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মহা প্রয়াণ দিবস। দিবসটিকে ঘিরে কবির স্মৃতি বিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহের কুঠিবাড়ীতে জাতীয়ভাবে কোন আয়োজন নেই। তবে কবির প্রয়াণ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষে রোববার (৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় শিলাইদহের কুঠিবাড়ীর বকুলতলায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসন।  

এছাড়াও কুষ্টিয়া শহরের টেগর লজ ও পৌরসভায় খন্ড খন্ড নানা আয়োজনে স্মরণ করা হবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মহা প্রয়াণ দিবস। তবে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস জাতীয়ভাবে পালন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার রবীন্দ্র প্রেমীরা।
 
১৮৮৯ সালে জমিদারি পরিচালনা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখানকার ছায়াশীতল পরিবেশ, বিশেষ করে পদ্মার রূপে মুগ্ধ হন তিনি। যে গীতাঞ্জলী কাব্য রবীন্দ্রনাথকে নোবেল পুরষ্কার এনে দিয়েছে তার অনেক কাজই হয়েছে এখানে। তিনি এখানে বসেই জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন ও এর সুর করেছেন। রচনা করেছেন অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য। কৃষি, যোগাযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষা ও মনন উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষন আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি। 

কুষ্টিয়ার শিলাইদহে জমিদারি পরিচালনা করতে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে পূর্ণতা পান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার সেই জীবনবোধ প্রতিফলিত হয়েছে তার সাহিত্যকর্মে। তিনি যেমন প্রজাদের কল্যাণ করেছেন, বীজ বপণ করেছেন অসাম্প্রদায়িকতার। এই মহামানবের প্রয়াণ দিবস স্মরণে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সংস্কৃতির পাদপীঠ কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত