রিটার্ন জমা দিলেই মিলবে বেতন

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ১২:২৮

অনলাইন ডেস্ক

এবার বাজেটে ১০ম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে  সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটি হচ্ছে, চলতি করবর্ষে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে। এর ফলে নতুন ৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবী করের আওতায় আসবে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সিদ্ধান্তকে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা স্বাগত জানিয়েছেন।

৩০ নভেম্বরের (বুধবার) মধ্যে যেসব সরকারি চাকরিজীবী রিটার্ন জমা দেননি বা সময় বৃদ্ধির আবেদন করেননি তাদের বেতন বন্ধের সুপারিশ করে সম্প্রতি এনবিআর হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মূল বেতন ১৬ হাজার বা তার বেশি হলে ওই কর্মচারীর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসের বেতন বিলের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে। অথবা রিটার্ন দাখিল না করে সময় বৃদ্ধির আবেদন করে থাকলে উপ-কর কমিশনারের অনুমোদিত আবেদনপত্রের কপি বেতন বিলের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। বেতন পরিশোধের আগে বিলের সঙ্গে এসব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে বেতন পরিশোধের সুপারিশ করা হয় চিঠিতে।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের রিটার্ন দাখিল আগে থেকেই বাধ্যতামূলক ছির। কিন্তু অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তাই এবার বাজেটে মাসিক বেতন ১৬ হাজার টাকা সিলিং করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বেতন বিলের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। মূলত রিটার্ন জমা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ফলে প্রায় নতুন ৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবী করের আওতায় আসবেন। এতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রিটার্ন দাখিলের সংস্কৃতি তৈরি হবে। 

তবে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মাসিক মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা হলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হলেও ট্যাক্স দিতে হবে না। কারণ এই শ্রেণীর কর্মচারীদের বার্ষিক মূল বেতন ও দুটি উৎসব ভাতা মিলে বছরে মূল আয় আড়াই লাখ টাকার কম, যা করমুক্ত আয়ের সীমার নীচে। ইনক্রিমেন্ট যুক্ত হয়ে মূল বেতন ১৭ হাজার ৮৫৭ টাকা অতিক্রম করলে ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে। তবে কর্মচারীদের বেতন ছাড়াও অন্যান্য আয় বা ব্যাংক সুদ থাকলে হিসাব করে তাদের আয়কর দিতে হবে।

এর আগেও এনবিআর চেয়ারম্যান সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে আয়কর আদায় নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব, সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের চিঠি দেন।