চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০১৭, ১৩:১৭

অনলাইন ডেস্ক

চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৮) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাক। ব্যাংকটি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) আনুমানিক হার ৭ দশমিক ১ শতাংশ।

রবিবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। ফলে বুঝা যায় বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। এই ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৬ দশমিক ৪ ও ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয় বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় চাহিদা পূরণে আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কৃষি উন্নয়ন ও শক্ত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

প্রবৃদ্ধি এমনই থাকবে ভবিষ্যৎবাণী করে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৮-২০২০ অর্থবছরে গড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকবে বাংলাদেশের। এতে করে বোঝা যায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা রেমিটেন্স ও নতুন ব্যবসা ও বিনিয়োগের ফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার ২০১৭ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আর ভারতে ২০১৭-১৯ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংক জানায়, বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্রুত বর্ধনশীল সাতটি দেশ ২০১৮ সালের মধ্যে তাদের অবস্থান ধরে রাখবে। তাদের প্রবৃদ্ধি ও এগিয়ে যাওয়া বিশ্বের অন্যান্য বর্ধনশীল অর্থনীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, কিছু ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে। নতুন ব্যবসা নীতি বিশ্ব বাজারে বাধা তৈরি করতে পারে। ২০১৭ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। পণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, নতুন বাজার তৈরি ও পণ্যের দাম স্থিতিশীলতার কারণে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে। ফলে তাদের ব্যবসায়ী সহযোগী দেশগুলোও উপকৃত হবে।